পদ্মা সেতুর রচনা ( সকল শ্রেণীর জন্য) PDF Download

এই আর্টিকেলের মধ্য দিয়ে আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি পদ্মা সেতুর রচনা। তাই আপনারা যারা পদ্মা সেতু রচনা সন্ধান করছেন কিংবা পদ্মা সেতুর রচনা সম্পর্কিত নানা তথ্য জানাতে চান। তাদের জন্য আমাদের এই আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই পদ্মা সেতুর রচনা শিখতে কিংবা রচনা সম্পর্কিত ধারণা নিতে আমাদের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। যেখান থেকে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় ধারণা পাবেন বলে আশা করছি।

আপনি যখন পদ্মা সেতু নিয়ে রচনা লেখার চেষ্টা করবেন তখন আপনাকে তুলে ধরতে হবে পদ্মা সেতু সম্পর্কিত নানান তথ্য। যেমন পদ্মা সেতু তৈরি হাওয়া থেকে জনগণের সুবিধা পর্যন্ত কিংবা দেশে কি ধরনের লাভবান হয়েছে এই সমস্ত বিষয়বস্তু আপনাদেরকে তুলে ধরতে হবে রচনাটিতে।

যেন সে রচনা থেকেই পদ্মা সেতুর সম্পর্কে সঠিক তথ্যগুলো জেনে নিতে পারে বাকিরা। তাই রচনা লিখতে হলে অবশ্যই আপনাকে সুন্দরভাবে গুছিয়ে এবং সঠিক তথ্য দিয়ে লিখতে হবে। নিচে আমরা পদ্মা সেতু নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত রচনা প্রকাশ করেছি। মনোযোগ সহকারে সংক্ষিপ্ত রচনাটি পড়ুন এবং সেখান থেকেই পদ্মা সেতুর সংক্ষিপ্ত ধারণা নিন। যেখান থেকে পরবর্তী সময়ে সুন্দরভাবে একটি রচনা লিখে ফেলতে পারবেন বলে আশা করছি।

রচনা : পদ্মা সেতু

ভূমিকা: একটি দেশ কতটুকু উন্নত বা একটি দেশের মান পরিমাণ করা যায় দেশের উন্নয়নশীল কাজকর্ম গুলোর দিকে লক্ষ্য করে। কেননা একটি দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা শিক্ষা ব্যবস্থা এবং কর্মসংস্থান ব্যবস্থা এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি দেশের জন্যই।

তবে আমাদের এই বাংলাদেশ কোন দিক দিয়ে কম নয়। বর্তমান বাংলাদেশ শিক্ষা ব্যবস্থার দিক থেকেও অনেকটাই এগিয়ে যা আমরা সকলেই জানি। এবং আমরা যদি বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার কথা চিন্তা করে থাকি। তাহলে প্রথমে আমাদের দৃষ্টি পরে পদ্মা সেতুর দিকে। কেননা যোগাযোগ ব্যবস্থার ভেতরে সবচাইতে বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে এই পদ্মা সেতুর মধ্য দিয়ে।যা থেকে বোঝা যায় বাংলাদেশ যোগাযোগ ব্যবস্থার কোন ত্রুটি নেই।

এদেশের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো সহজ করার উদ্দেশ্যে বৈদেশিক কোন সহযোগিতা ছাড়াই বাংলাদেশের নিজ অর্থায়নে তৈরি করা হয় পদ্মা সেতু। যার যার সফলতার পেছনে রয়েছেন বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দেশের জনগণ।

বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই পদ্মা সেতু দক্ষিণ বঙ্গের সমস্ত মানুষের জন্য। কেননা তারা এখন খুব সহজেই চলাফেরা করতে পারছে পদ্মা নদীর উপর দিয়ে যা কিছুদিন আগেও সম্ভব ছিল না। পদ্মা নদীর ওপর দিয়ে পদ্মা সেতুর তে চলাফেরা করতে পারবে সব ধরনের যানবাহন এবং রেল। যার কারণে মানুষের চলাফেরায় কোন অসুবিধা চিন্তাও করা যায় না।

পদ্মা সেতুর বর্ণনা:

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সবচাইতে বৃহত্তম সেতু হলো পদ্মা সেতু। দুই স্তর বিশিষ্ট এই পদ্মা সেতু তৈরি হয় উন্নত প্রযুক্তি দ্বারা। দুই স্তর বিশিষ্ট এই পদ্মা সেতুর প্রথম উপরের স্তরে চলাফেরা করতে পারবে সকল প্রকার যানবাহন। এবং পদ্মা সেটিতে নিজের স্তরে যে অংশ সেই অংশে চলাচল করতে পারবে ট্রেন।

পদ্মা সেতুর মূল পিলার রয়েছে মোট 42 টি। যে ৪২ টি পিলারের মধ্যে নদীর মধ্যে চল্লিশটি। এবং নদীর দুই পাশে দুইটি। এছাড়া পদ্মা সেতুতে সংযোগ পিলার হিসেবে ব্যবহার হয়েছে মোট 24টি পিলার পূর্ব পাশে 12 টি পিলার। এবং পশ্চিম পাশে বারোটি পিলার।

পিলারের ওপর স্প্যান বসানাে হয়েছে মোট 41 টি। সেটার দুই পারেই সংযোগ সড়ক তৈরি করা হয়েছে ১২ কিলোমিটার পথ।

ভৌগোলিক প্রেক্ষাপটে পদ্মা সেতুর গুরুত্ব:

বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। যে দেশকে বলা হয় ১৩শত নদীর দেশ। বাংলাদেশ নদীমাতৃক হাওয়াই প্রতিনিয়তই চলাফেরার কারণে দেশের জনগণকে নদী পাড়ি দিয়ে একবার থেকে আরেকবার যেতে হয় যা প্রত্যেকের জন্যই খুবই অসুবিধা জনক।

দেশের সমস্ত মানুষের অসুবিধা গুলোকে সুবিধায় পরিণত করতে তৈরি করা হয়েছে এই পদ্মা সেতু যা পদ্মা সেতুর ওপরে নির্মাণ করা হয়। এবং এই পদ্মা সেতুর প্রকল্প সঠিকভাবে নির্মাণ হওয়ার পর থেকেই এখন সুষ্ঠুভাবে চলাফেরা করতে পারছে এদেশের সমস্ত নাগরিকরা যা আমাদের জন্য খুবই সৌভাগ্যের।

আপনার হয়তো এতক্ষণে মনোযোগ সহকারে আমাদের এই রচনাটি পড়ছিলেন যা থেকে পদ্মা সেতু সম্পর্কে আপনারা অনেক ধরনের অর্জন করতে পেরেছেন। তাই আপনারা এই পদ্মা সেতুর রচনাটি যেকোনো পরীক্ষায় কিংবা যেকোনো জায়গায় লিখতে পারেন। এতে কোন রকম অসুবিধা হবে বলে মনে হয় না