চল চল চল কবিতা | কাজী নজরুল ইসলাম কবিতা

কাজী নজরুল ইসলামের একটি সুপরিচিত কবিতার নাম হলো চল চল চল। যা আমরা সকলেই হয়তো জানি। প্রতিটি মানুষের জীবনে এই কবিতাটি শেখা হয়ে থাকে শৈশবে। যে সময়টাতে আমরা স্কুলে পড়ালেখায় নিয়োজিত ঠিক সেই সময় আমরা এই চল চল চল কবিতাটি শিখে থাকি।

তবে এখন যে সমস্ত বাচ্চারা শৈশবের জীবন পার করছে। তাদেরকে এই সমস্ত কবিতাগুলো শেখার প্রয়োজন হয়ে থাকে। কেননা এই সমস্ত কবিতার মধ্য দিয়ে বাচ্চারা তাদের জীবন আদর্শের ঠিকানা খুঁজে পায়।

যেমন কবি কাজী নজরুল ইসলাম এই কবিতার মধ্য দিয়ে বুঝিয়েছে সব বাধা বিঘ্ন অতিক্রম করেও সফলতা আনা সম্ভব তার সম্পর্কে। আরো বুঝিয়েছে মানুষের জীবনে অনেক রকমের বিপদ আসবে অনেক বাধা আসবে।
যেগুলোকে প্রত্যেককেরই তুচ্ছ মনে করতে হবে।

আমরা যখন এই সমস্ত বাধা বিঘ্নগুলোকে তুচ্ছ মনে করবে। তখন এ সমস্ত বাধা বিঘ্ন গুলো আমাদের জীবনে কোনরকম প্রভাব ফেলতে পারবে না। তাই অবশ্যই আমাদের সকলকেই শক্ত হতে হবে এবং সমস্ত কিছুর সাথে মোকাবেলা করার সাহস জোগাতে হবে। তবেই সবকিছু অর্জন করা সম্ভব।

তাই এখন প্রতিটি শৈশবের বাচ্চাদের কেউ এই কবিতা সম্পর্কে জানাটা জরুরী বলে মনে করছি। কেননা কবি কাজী নজরুল ইসলাম এই কবিতার দ্বারা যে সমস্ত বিষয়গুলোকে বুঝিয়েছেন। সেগুলো অবশ্যই আমাদের সকলের জন্যই প্রয়োজন।তাই প্রতিটি বাচ্চাকে এই কবিতা দ্বারা বুঝিয়ে দিতে হবে জীবন আদর্শ কেমন বা কিভাবে জীবনকে পরিচালনা করার যায়।

প্রতিটি বাচ্চাকে যদি এই কবিতাগুলো সঠিকভাবে বুঝিয়ে দেয়া যায়। সেক্ষেত্রে প্রত্যেকে নিজেদের জীবনকেও ঠিক সেইভাবে গড়ে তুলতে পারবে বলে মনে করছি।

তাই আপনারা আপনাদের বাচ্চাদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে চাইলে। কিংবা সুপথে নিয়োজিত করতে হলে এই সমস্ত কবিতাগুলো ভালো হবে বুঝিয়ে দেবেন। যা থেকে তারা নিজেরাই তাদের জীবন আদর্শকে পরিবর্তন করতে পারবে।

আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত কবিতা পড়া বা গল্পের বই পড়া কেননা আমরা যখন কোন গল্পের বই পড়বো তখন আমরা নানান বিষয়ে ধারণা অর্জন করতে পারব যে ধারণাগুলো প্রতিটি মানুষের মধ্যেই থাকা প্রয়োজন।

এছাড়াও জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে বই পড়া খুবই জরুরী। বই পড়লে প্রতিটি মানুষের মন ভালো থাকে এবং সবকিছুই ঠিক সুন্দরভাবে গুছিয়ে করা সক্ষমতা করে ওঠে। তাই প্রত্যেকেরই বই পড়ার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করতে হবে।

আপনি যদি একটু লক্ষ্য করে থাকেন সেক্ষেত্রে দেখতে পারবেন কাজী নজরুল ইসলামের অনেক কবিতার রয়েছে। যেগুলো আমরা সকলেই কম বেশি বলতে পারি। শৈশবে এমন অনেক কবিতায় আমরা পড়েছি যেগুলো এখন পর্যন্ত মোটামুটি ভাবে মুখস্ত রয়েছে। কেননা সেই সময় আমরা কবিতাগুলো খুব বেশি বেশি ভাবে পড়তাম যার কারণে ঠিক সেই ভাবে এখনো মনে করতে পারি যে কোন কবিতার দু এক লাইন।

তাই আমরা যদি এখনো বই পড়ার অভ্যাসটি করে তুলতে পারি কিংবা নিয়মিত যদি বই পড়ি সে ক্ষেত্রে আমাদের চিন্তাভাবনা এবং জ্ঞানের পরিধি অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে। এবং আমাদের কোন কিছু করতে কোন রকম অসুবিধা দেখা দেবে না।

ঠিক যেমন কাজী নজরুল ইসলাম চল চল চল কবিতায় বুঝিয়েছে ভয় ভীতি বাধা বিঘ্ন অতিক্রম করে জয় ছিনিয়ে নেবার। ঠিক সেভাবেই প্রতিটি কবিতাতেই কাজী নজরুল ইসলাম জীবন আদর্শকে তুলে ধরেছে। জীবনকে পরিচালনা করার সঠিক পথ রয়েছে তার কবিতায়। যা আমরা শুধুমাত্র কবিতাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়লেই বুঝতে পারব।

এছাড়াও তার কবিতার মাধ্যমে ফুটে ওঠে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। যেই অন্যায় কোন মানুষের সাথে হয়ে থাকে যে অন্যায়গুলো সমাজের সাথে হয়ে থাকে এই সমস্ত অন্যায়ের বিরুদ্ধেও রয়েছে কাজী নজরুল ইসলামের বিশেষ প্রতিবাদী কবিতা। যার কবিতার প্রতিটি কথাই রয়েছে তীব্র প্রতিবাদ।

তাই জীবনকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে এবং সৎপথে চলতে কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা আর কোন সীমা নেই। তো আপনার হয়তো এতক্ষণে কাজী নজরুল ইসলামের চঞ্চল কবিতাটি সম্পর্কে নানান কথা জানতে পারলেন। যা প্রতিটি মানুষেরই জেনে রাখা প্রয়োজন। তাই আপনারাও ঠিক কাজী নজরুল ইসলামের মতনই জীবন পরিচালনা করতে পারবেন বলে মনে করছি।