অনলাইনে স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড – ঘরে বসেই স্মার্ট আইডি কার্ড ডাউনলোড করুন

বর্তমান যুগ আধুনিক যুগ, বর্তমানে আমরা সকল কাজ অনলাইন এর মাধ্যমে করে থাকি। অনলাইন জীবন আমাদের অনেক সহজ করে তুলেছে। অনলাইনের মাধ্যমে আমরা প্রয়োজনীয় কাজ সম্পাদন করে অনেক সময় বাঁচাতে পারছি। অনলাইনের মাধ্যমে যে কোন কাজ অল্প সময়ের হাওয়াই এর জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। জাতীয় পরিচয় পত্র ও আইডি কার্ড প্রত্যেকটি নাগরিকের প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। আইডি কার্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। কারণ আমাদের চলার পথে অনেক প্রয়োজনে আসে।

তাছাড়া আপনি যে একটি দেশের নাগরিক তারই সার্টিফিকেট আইডি কার্ড। তাই এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা আপনাদের জানিয়ে দেবো কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে আপনি আপনার স্মার্ট কার্ড টি ডাউনলোড করতে পারবেন। স্মার্ট কার্ডটি ডাউনলোড করতে চাইলে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণভাবে পড়ুন।

স্মার্ট কার্ড কি?

স্মার্ট কার্ড হল ইলেকট্রিক ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট সংযুক্ত প্লাস্টিক একটি কার্ড যেটা স্মার্ট কার্ড বা এনআইডি নামে পরিচিত। এটি একটি মেশিন রিডেবল কার্ড এই কার্ডটি দেখে আপনার যেকোনো ব্যাংকের এটিএম কার্ডের মত মনে হবে। একটি স্মার্ট কার্ড ধারী ব্যক্তি বাইশটি বিভিন্ন ধরনের পরিষেবা পেয়ে থাকবে। যদিও স্মার্ট কার্ডটি বিভিন্ন ধরনের আছে, তবে এই স্মার্ট কার্ডটি শুধু জাতীয় পরিচয়পত্র বহন করে। স্মার্ট কার্ডটিতে একজন ব্যক্তির নাম, পরিচয় পত্র, ছবি, ইত্যাদি নানা ধরনের তথ্য দেওয়া আছে। শুধু ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে নয় একটি স্মার্ট কার্ড একটি দেশের নাগরিকের অনেক সুবিধার জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে। বর্তমানে নতুন ভোটারদের স্মার্ট কার্ড দেওয়া হচ্ছে।

অনলাইনে স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম:

যাদের বয়স ১৮ পার হয়ে গিয়েছে এবং যারা জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য আবেদন করে ছবি তুলেছেন তারা অনেকেই কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করবেন সেই পদ্ধতি জানেন না। ওনেকে অনেক নিয়ম জানে কিন্তু সঠিক নিয়মটি না জানার কারণে তার অনলাইনে থাকা স্মার্ট কার্ড টি ডাউনলোড করতে পারেনা। আপনি কি স্মার্ট কার্ডের অরজিনাল কপির জন্য অপেক্ষা করছেন, সে ক্ষেত্রে আপনাকে অপেক্ষা অনেক করতে হবে। তবে একটি উপায় আছে আপনার যে কোন প্রয়োজনে ক্ষেত্রে আপনি স্মার্ট কার্ডের অনলাইন কপিটি ব্যবহার করতে পারেন

স্মার্ট কার্ডের অনলাইন কপিটা বের করতে হলে আপনাকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের প্রবেশ করতে হবে, তারপরে আপনারা উপরের দিকে একটি অপশন পাবেন, সেখানে গেলে আপনার ভোটার তথ্য নামক একটি অপশন আসবে এবং সেটার ওপর আপনাকে ক্লিক করতে হবে। তারপর আপনার সামনে তিনটা ফাকা ঘর চলে আসবে, সঠিক তথ্য দিয়ে তিনটা ঘর আপনাকে পূরণ করতে হবে। প্রথম ঘরে আপনি যে এনআইডি কার্ডের নাম্বার পেয়েছেন সেই এনআইডি কার্ডের নাম্বারটি সতর্কতা সাহায্যে বসাতে হবে। আর আপনি যদি এনআইডি কার্ড না পেয়ে থাকেন তাহলে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের জন্য যে নিবন্ধন করেছিলেন সেই নিবন্ধন স্লিপের নাম্বারটি বসাবেন।

তার নিজের জন্ম তারিখ ও নিচের ক্যাপচা সঠিকভাবে পূরণ করবেন। এবং পরবর্তী ঘরে গেলে আপনার যে জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার দিয়েছেন, সেই নাম্বার অনুযায়ী আইডি কার্ডের জন্য আবেদনকারীর সঠিক তথ্য তার সামনে চলে আসবে। সেই সাথে ১০ ডিজিটের একটি জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার পাবেন, আর সেই নাম্বারটি স্মার্ট কার্ডের নাম্বার। স্মার্ট কার্ড নাম্বারটি কপি করে নিজের কাছে রাখুন, তারপর আপনাকে রেজিস্ট্রেশন নামক একটি অপশন চলে আসবে, সেখানে আপনাকে একটি বিশেষ একাউন্ট খুলতে হবে, কারণ পরবর্তীতে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার দিয়ে অন্য কেউ যেন, এই অনলাইন কপিটি সংগ্রহ করতে না পারে,তার জন্য আপনাকে ক্লেইম ইউর অপশন এ ক্লিক করতে হবে।

তারপরে পরবর্তী ঘরে গিয়ে আপনার এনআইডি কার্ডের নাম্বার প্রেরণ করতে হবে। এবং তার পরবর্তী ঘরে গিয়ে আবারো আপনার জন্ম তারিখ দিন। তারপরে একটি ক্যাপচা কোড আসবে সেটি সঠিকভাবে পূরণ করুন। তারপরে বর্তি ঘরে গিয়ে আপনার বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা সঠিকভাবে বসান। তারপরে আপনার কাছে একটি ওপিটি নাম্বার আসবে, ওপিটি নাম্বারটি সঠিকভাবে ফাকা ঘরে পূরণ করুন। আপনি যে ওপিটি নাম্বারটি ব্যবহার করবেন সেটা অবশ্যই ইউনিক হতে হবে।

এবং ওপিটি নাম্বারটি ব্যবহার করার পরেই পরের একটি ঘরে চলে আসবেন, এবং সেখানে গিয়ে আপনি একটি ডাউনলোড এর অপশন পাবেন, সেই ডাউনলোড অপশন এ ক্লিক করলেই আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত জাতীয় পরিচয় পত্রের স্মার্ট কার্ডের অনলাইন কপিটি ডাউনলোড করতে সক্ষম হবেন।

জাতীয় পরিচয় পত্র বা স্মার্ট কার্ড খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যে কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজের ক্ষেত্রে এটার প্রয়োজন অনেক বেশি। তবে আপনি যদি ভোটার হয়ে থাকেন কিন্তু এখনো স্মার্ট কার্ড টি হাতে পাননি কিন্তু সেটার অনেক প্রয়োজন তাহলে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে এসে আপনার অনলাইন কপি স্মার্ট কার্ড টি ডাউনলোড করতে পারবেন।