বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এই দুটি নাম নিবিড়ভাবে জড়িয়ে রয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর নেতৃত্বে আমরা আজ একটি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি। সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ শিরোনামের একটি প্রবন্ধ রচনা করার কথাটি উল্লেখ করা হয়েছে। আপনি কি বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ নিয়ে 500 শব্দের একটি প্রবন্ধ রচনা করতে চাচ্ছেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতে এসেছেন কেননা আমরা আপনাদের প্রবন্ধ রচনা খুব সুন্দর ভাবে প্রকাশ করেছে।
বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ
বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নামের সাথে বাংলাদেশ নামটি যুক্ত রয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তার অমূল্য প্রীতি বাঙালি জাতি সারা জীবন মনে প্রানে স্মরণ করে রাখবে অর্থাৎ অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এই দুইটি নাম পরস্পরের সাথে নিবিড় ভাবে জড়িয়ে রয়েছে। যার কারণে এদের একটি ছাড়া অন্যটি কল্পনা। বঙ্গবন্ধু ছাড়া বাংলাদেশ নামের জন্য কখনও হত না অর্থাৎ আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ কখনোই পেতাম না। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য আলোচনা এই অংশের উপস্থাপন করা হলো।
শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কীর্তি সম্ভবত সবচেয়ে ভালোভাবে লিপিবদ্ধ করেছেন কিংবদন্তি বাঙালি কবি ও প্রাবন্ধিক অন্নদাশঙ্কর রায়। তিনি লিখেছেন—
‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান
ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান.
বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে অবশ্যই তার জন্ম সম্পর্কে জানতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাজার 920 সালের 17 মার্চ বাংলার ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ সাব ডিভিশনের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। জন্ম থেকে তিনি ছিলেন একজন প্রগতিশীল উচ্চাকাঙ্ক্ষী রাজনীতিবিদ এবং খুব তাড়াতাড়ি তার রাজনৈতিক প্রতিভা মানুষের সামনে চলে আসতে শুরু করে। হোসেন স্বচ্ছ রাদিও মৌলানা ভাসানি পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠন করার সময় শেখ মুজিবুর রহমান মুসলিম লীগ ত্যাগ করেন এবং তিনি নতুন এ দলে যোগদান করেন। জারকা হোতাকে পূর্ববাংলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
পরিশেষে বলা যায় যে উপরের আলোচনার ভিত্তিতে আপনি বুঝতে পেরেছেন বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ নামের মধ্যে যে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। ধন্যবাদ আমাদের পাশে থাকার জন্য আমরা আশা করবো আপনি এখান থেকে সঠিক সমাধান করে তা বিদ্যালয়ের উপস্থাপন করবেন।