সূর্য গ্রহণের সময় এবং শেষ হবার সময় ইতোমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে এই নিবন্ধনে। তাই যে সমস্ত ব্যক্তিরা সূর্যগ্রহণ এর সঠিক সময় সম্পর্কে জানতে চান তারা আমাদের নিবন্ধনটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আপনাদের এই সময় সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেওয়ার লক্ষ্যেই আমরা প্রকাশ করেছি সূর্য গ্রহণের সময় যে সময়টি জানাটা প্রতিটি মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা সূর্য গ্রহণকে ঘিরে সাধারণ ত বিভিন্ন ধর্মের মানুষই ধর্মীয় কর্মসূচি পালন করে থাকে। তাই তাদের ধর্মীয় কর্মসূচি গুলোকে সঠিক সময়ে করার জন্যই আমরা আর্টিকেলে সূর্য গ্রহণের সময়টি প্রকাশ করেছি। যা আপনারা আর কিছু ক্ষণ বাদেই জেনে নিতে পারবেন।
সূর্য গ্রহণ কি?
সূর্যগ্রহণের সময় জানার আগেই প্রত্যেককে জেনে নিতে হবে সূর্যগ্রহণ কি বা কেন হয়। সূর্যগ্রহণ হয় সাধারণত মহাকাশের কোন নিয়মের কারণে। যে কারণটি সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। তবে যে সমস্ত ব্যক্তিরা এই সূর্য গ্রহণের কারণ সম্পর্কে জানে না তাদের প্রত্যেককেই এই কারণটি জানতে হবে।
কেননা এই সূর্য গ্রহণের সঠিক কারণ না জানার ফলে সাধারণ মানুষরা এ বিষয়টাকে অনেকটা ভয়ানক হিসেবে মনে করে। এছাড়াও এই সূর্য গ্রহণের পেছনে রয়েছে অনেক কুসংস্কার যেগুলো প্রতিনিয়তায় মানুষের মধ্যে বৃদ্ধি পেয়ে যাচ্ছি।
তাই আপনি যদি সূর্য গ্রহনের সঠিক কারণ জানতে পারেন বা কি কারনে সূর্যগ্রহণ হয় সেটা জানতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনারা কোন রকম ভয়বৃতি ছাড়াই সূর্য গ্রহণকে মেনে নিতে পারবেন।
সূর্যগ্রহণ হয় সাধারণত পৃথিবী এবং সূর্যের মাঝখানে কিছু সময়ের জন্য চাঁদ চলে আসার কারণে।পুরোপুরিভাবে সূর্য এবং পৃথিবীর মধ্যে চলে আসে তখন প্রায় সূর্য চাঁদের কারণে অদৃশ্য হয়ে পড়ে। সূর্যের কোন আলো পৃথিবীতে স্পষ্টভাবে পড়েনা। যাকে সাধারণত সূর্যগ্রহণ বলা হয়।
সূর্যগ্রহণ নিয়ে কুসংস্কার
তবে আপনি যদি একটু লক্ষ্য করে থাকেন তাহলে জানতে পারবেন অনেক রকমের কুসংস্কার রয়েছে এই সূর্য গ্রহণ নিয়ে। যা সাধারণত মানুষের প্রতিটি অঞ্চলে ই মানুষরা বিভিন্ন কার্যক্রম করে থাকে এই সূর্যগ্রহণ নিয়ে।
তবে সূর্য গ্রহণ নিয়ে তেমন ভয় পাবার কিছু নেই বা কেমন নিয়ম মেনে কোন কাজও করার কিছু নেই এটি সাধারণত মহাকাশের একটি নিয়মিত ব্যাপার। যা ভবিষ্যতে আবারো ঘটতে পারে তবে এই নিয়ে সাধারণ মানুষকে কোন রকম ভয়বৃতি তে পড়তে হবে না।
অন্যান্য সাধারণ কিছুর মতোই এই সূর্যগ্রহণ টাকেও সাধারণ বলে মেনে নিতে হবে প্রতিটি মানুষকে। না হলে দিনের পরিবর্তে আসতে আসতে আরো মানুষ কুসংস্কারের দিকে ঝুঁকে পড়বে। এবং সেই কুসংস্কারের কারণে এ সমাজে একটি অবক্ষয় দেখা দিবে। যা থেকে মানুষের মধ্যে অন্যরকম একটি ভাবনার ক্ষতিকর বা ভুল।
তাই এখন থেকে প্রতিটি মানুষকে এই সমস্ত কুসংস্কার থেকে দূরে সরে আসতে হবে। যাতে করে পরবর্তীতে এ সমস্ত কুসংস্কারের কারণে মারাত্মক কোন ঝুঁকের সম্মুখীন না হতে হয়।
সূর্যগ্রহণ নিয়ে মানুষের সমস্ত কুসংস্কার গুলো প্রচলিত রয়েছে সেগুলো হলো,,
রান্নাকরা, খাবার খাওয়া:
অনেকে মনে করে সূর্য গ্রহণের সময় কোন প্রকার খাবার খাওয়া বা পানি খাওয়া যাবে না যদি কেউ খেয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে তার শরীরে ক্ষতি হবে। এমনকি সূর্য গ্রহণের সময় রান্না করাও একটি অমঙ্গল জনিত কাজ যা সাধারন মানুষরা অনেকেই মনে করে থাকে।
তবে এই সূর্য গ্রহণের নিয়ে এমন কোন ভিত্তি আজ পর্যন্ত প্রমাণিত হয়নি।
গর্ভবতী নারীদের বাইরে বের হওয়া:
সূর্যগ্রহণের সময় যদি কোন গর্ভবতী নারী বের হয় সেক্ষেত্রে তার গর্ভের সন্তানের বিভিন্ন রকমের ক্ষতি হতে পারে যেমন শরীরে জন্ম দাগ এছাড়াও বিকলাঙ্গ হতে পারে যা সাধারণত অনেকেই এই কথাগুলো মনে করে থাকে। তবে আদৌ এমন কোন ব্যক্তি পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি যা থেকে মানুষকে সাবধান হতে হবে।
তাই এই সমস্ত কুসংস্কার থেকে বের হয়ে মানুষকে অতি শীঘ্রই সাধারণ চিন্তা ভাবনায় ফিরতে হবে যা থেকে মানুষের অবনতি চেয়ে উন্নতি হবে বেশি।
তাই আপনারাও সূর্য গ্রহণ কিংবা চন্দ্রগ্রহণ এ নিয়ে ভুল কোন চিন্তা না করে একটি সঠিক চিন্তা করুন। এবং নিজের ভাবনাটাকে জাগ্রত করে তুলুন।