কুরবানির কিছু জরুরি মাসআলা

কুরবানির মাসআলা মাসায়েল সম্পর্কে জানার পূর্বে আপনাকে তার অর্থ সম্পর্কে জানা জরুরী। মাসআলা শব্দের অর্থ কোন বিষয় সম্পর্কে জানতে চাওয়া বা প্রশ্ন করা। ইসলামী পরিভাষায় কুরআন-হাদীসের কোন নির্দিষ্ট একটি বিষয়কে মাসআলা বলা হয় অর্থাৎ যে বিষয়টি মানুষের জানার প্রয়োজন তাকে বলা হয় মাসআলা । মাসআলা শব্দের বহুবচন হচ্ছে মাসায়েল।

কুরবানির কিছু জরুরি মাসায়েল

মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা আগামী ২২ শে জুলাই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এই দিনকে কুরবানীর ঈদ ও বলা হয় কেননা এই দিনে প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে পশু কুরবানী দেওয়া। নিজের অর্থে কেনা প্রসূতি বা নিজের গৃহপালিত পশু আল্লাহর নামে উৎসর্গ করে জবাই করার মাধ্যমে একজন প্রকৃত মুসলমান মূলত আল্লাহর কাছে নিজেকে সমর্পণ করার শিক্ষা নিয়ে থাকে। পবিত্র কুরআন মাজীদে কুরবানীর অনেক ফজিলত রয়েছে কুরবানীর পশু জবাই সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা পাঠকদের জন্য তুলে হবে।
maswala
maswala-2
  1. কোন ব্যক্তির কুরবানী দিতে পারবে। যার ওপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব কার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব। আরজে সম্প্রচারের নয় তার ওপর কুরবানী করা ওয়াজিব হবে না কিন্তু অদের নেওয়া সত্ত্বেও যদি করতে পারে তাহলে সে বিপুল পরিমাণ সব পাবে।
  2. একজন মুসাফির সাধারণত ঘরবাড়ি ছেড়ে যাতায়াত করে থাকে অর্থাৎ মুসাফিরের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়।
  3. ১০ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ সন্ধ্যা পর্যন্ত তিন দিন যেকোনো সময় কুরবানী করা সম্ভব এই তিন দিনের মধ্যে যেদিন সেদিনই আপনি কুরবানী করতে পারবেন কিন্তু প্রথম দিন করা সবচেয়ে উত্তম।
  4. ঈদুল আজহার নামাজের পূর্বে কুরবানী করা জায়েয নয় অর্থাৎ ঈদের নামায শেষ করার পরে পশু কুরবানী করতে হবে।
  5. বকরি পাঠা খাসী ভেড়া ভেরি দুম্বা গাভী ষাঁড় বলদ মহিষ উট এই ধরনের গৃহপালিত পশু দিয়ে কুরবানী করা জায়েয ও অন্যান্য বন্য পশু দিয়ে কুরবানী আদায় করা জায়েজ নয়।