আগামী ২৪ শে মার্চ থেকে বাংলাদেশ সহ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে একই সময়ে মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে পবিত্রতম মাহে রমজান শুরু হতে চলেছে। একজন মুসলমান হিসেবে আপনি যেহেতু এখানে বসবাস করে থাকেন তা এখানকার সময়সূচি অনুসারী আপনাকে মাহে রমজানের প্রতিটি রোজা পালন করতে হয়। ইসলামী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ বর্তমানে রমজানের সময়সূচি প্রকাশের কাজে নিজেদের ব্যস্ত রেখেছেন এবং ইতিমধ্যে তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে একটি রমজানের ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হয়েছে।
আপনারা যারা অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে এই রমজানের ক্যালেন্ডার সংগ্রহ করতে পেরেছেন তারা সেখানে লক্ষ্য করবেন যে সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি উল্লেখ রয়েছে। তবে অনেক রোজাদার ব্যক্তি রয়েছে যারা সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি জানার পাশাপাশি সেহরি খাওয়ার শেষ সময় কখন এই তথ্যটি সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে রাখেন। কেননা এই তথ্যটির ভিত্তিতে আপনি রমজানের জন্য কতটুকু সময় পাচ্ছেন অর্থাৎ ঘুম থেকে ওঠার পর সেহরি খাওয়ার জন্য কতটুকু সময় পাবেন সেইটুকু জানতে পারলে পুরো প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবেন।
যদিও স্থান ভেদে বিভিন্ন স্থানে সেহরির শেষ সময় বিভিন্ন রাখা হয়েছে তবে সূর্য ওঠার উপর ভিত্তি করে সাধারণত এই সেহরীর সময় নির্ধারণ করা হয়। আজকে আমরা আপনাদের সাথে বাংলাদেশসহ আর বাসবর্তি বেশ কয়েকটি দেশ এবং আমাদের বাংলাদেশের যে সকল জেলাগুলো রয়েছে তার প্রতিটি সেহরির শেষ সময় উল্লেখ চলেছে। সুতরাং আপনাদের জন্য আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং আপনি আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে আপনার জন্য আজকের সেহরির শেষ সময় বিশেষভাবে বের করতে পারছেন।
আজকের সেহরির শেষ সময়
সেহেরী একজন রোজাদার ব্যক্তির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় এবং এটা খাওয়ার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি সঠিক ভাবে রমজান মাসে রোজা রাখতে পারেন। সেহরির সময় আপনি খেতে পারবেন সুতরাং এটি খাওয়ার জন্য আপনার পূর্ব প্রস্তুতি প্রয়োজন। তবে স্থানভেদে প্রতিটি স্থানে এখন সেহরির শেষ সময় এক নয় কেননা আপনি এখন যেখানে বসবাস করেন সেখানকার যে ঢাকার সময়সূচি একটু আলাদা হতে পারে।
বাংলাদেশ ইসলামী ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ রাজধানী ঢাকাকে কেন্দ্র করে সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি তৈরি করেছেন। এ অবস্থায় আপনি এখন বাংলাদেশের যে কোন জেলায় বসবাস করে থাকলে সেক্রেতার স্থানীয় সময় অনুসারে আপনাকে সেহরির শেষ সময় জানানোর দায়িত্ব আমাদের। আমরা এখানে একটি বিশেষ তালিকা তৈরি করেছি যেখানে রাজধানী ঢাকাকে কেন্দ্র করে সারা বাংলাদেশের যে স্থানীয় সময় রয়েছে সেটার উপর ভিত্তি করে সেহেরির শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
তাছাড়া আমাদের এখানে যে সকল তথ্যগুলো দেওয়া হয়েছে তার প্রতিটি ঢাকাকে কেন্দ্র করে। আপনারা যারা ঢাকা বিভাগে বসবাস করে ঢাকা জেলার যে সকল স্থানে বসবাস করে না কেন প্রথমে আপনাকে এখানকার যে নির্দিষ্ট সময়সূচি রয়েছে সেটার ভিত্তিতেই সেহরি খেতে হবে। তাছাড়া ঢাকায় কেমনে করে অন্যান্য স্থানের সময়সূচি তৈরি করার ক্ষেত্রে আমরা একটু বিশেষ দৃষ্টিপাত করেছি। এতে করে আপনি এখন কোন ধরনের জটিলতা ছাড়াই স্বল্প সময়ের মধ্যেই আজকের সে সময় রয়েছে সেটি অনায়াসে বের করতে পারেন।
ঢাকার পরে আসে বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর হচ্ছে চট্টগ্রাম। ইহা একটি বিভাগীয় শহর হওয়ার কারণে এখানে প্রচুর মানুষের বসবাস এবং এই বিভাগে যে সকল জেলাগুলো রয়েছে সে জেলার মানুষ এখন নির্দিষ্ট একটি সময়সূচির উপর ভিত্তি করে সেহেরি গ্রহণ করবে। আপনি চট্টগ্রামে বসবাস করে থাকলে চট্টগ্রামের স্থানীয় সময় অনুসারে একটি নির্দিষ্ট সেহরির শেষ সময় প্রকাশ করা হয়েছে এবং আমরা আপনাদের জন্য সেটি এখানে শেয়ার করেছি।
আমরা মাহে রমজানের প্রথম রোজা থেকে শুরু করে শেষ রোজা পর্যন্ত যে নির্দিষ্ট সময়সূচির উপর ভিত্তি করে সেহেরি আপনাকে গ্রহণ করতে হবে সে সম্পর্কে তথ্য তালিকা করে শেয়ার করেছে। আপনি সঠিকভাবে আমাদের তথ্যগুলো সংগ্রহ করুন এবং আপনার স্থানীয় সময় অনুসারে সঠিকভাবে মাহে রমজানের প্রতিটি রোজা রাখার চেষ্টা করুন।