নফল নামাজের নিয়ম ও নিয়ত | সকল ওয়াক্তের

আজকে আপনাদের প্রত্যেককে জানিয়ে দেবো নফল নামাজের নিয়ত কিভাবে করতে হয় এবং নফল নামাজের সঠিক নিয়ম গুলো সম্পর্কে। যাতে করে আপনারা প্রত্যেকে মহান আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নফল নামাজ আদায় করতে পারেন।
সাধারণত নফল নামাজ দুই রাকাত হয়ে থাকে যা সঠিক সময়ে পড়া জরুরী। নফল নামাজ পড়ার সঠিক সময় হল যে কোন ওয়াক্তের ফরজ নামাজের পরে। যেমন আপনি যদি জোহরের নামাজ আদায় করে থাকেন। সেক্ষেত্রে যোহরের নামাজ শেষ করে পরবর্তীতে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়তে পারবেন। নফল নামাজের আলাদা কোন নিয়ম কিংবা নিয়ত নেই। সাধারণ অন্যান্য ওয়াক্তের নামাজের মতই নফল নামাজ পড়তে হয়।তাই জেনে নিন নফল নামাজ সম্পর্কিত আরো নানান তথ্য এবং দোয়া সম্পর্কে।
দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ার নিয়ম
প্রতিটি মুসলমান ব্যক্তিকেই আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নামাজ পড়তে হয় বা সালাত আদায় করতে হয়। কেননা মহান আল্লাহতালা প্রতিটি মুসলমান জাতির জন্য নামাজ বাধ্যতামূলকভাবে করে তুলেছে। তাই আল্লাহ তায়ালার আদেশ মানতে এবং তার সন্তুষ্টি অর্জন করতে আমরা প্রত্যেকেই নামাজ পড়ে থাকি। যা আমাদের বেঁচে থাকতে মূল্য দায়িত্ব।
তবে অধিকাংশ সময় গুলোতে আমরা ব্যস্ততার কারণে কিংবা অন্যান্য কারণবশত নামাজ কাজা করে থাকি বা নামাজ পড়িনা। কিন্তু যে কোন কারনেই হোক নামাজ কখনই কাজা করা যাবে না। সঠিক সময়ে নামাজ আদায় করতে হবে আপনি যদি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত থাকেন। সেক্ষেত্রেও আপনাকে আগে নামাজ আদায় করতে হবে। কেননা এটি মহান আল্লাহ তাআলার আদেশ এবং সেই আদেশ প্রতিটি মুসলমানকেই মানতে হবে।
আমরা যদি মৃত্যুর পরের জীবনটাকে সুন্দরভাবে উপভোগ করতে চাই বা জান্নাতে প্রবেশ করতে চাই। সেক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালার সমস্ত ইবাদত করতে হবে। এবং আল্লাহ তাআলার প্রতিটি আদেশ-নিষেধগুলো মানতে হবে।
তো যাই হোক আপনারা এবার জেনে নিন কিভাবে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়বেন। নিচে আমরা নফল নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম গুলো বিস্তারিতভাবে প্রকাশ করেছি। তাই মনোযোগ সহকারে আমাদেরই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন। এবং জেনে নিন নফল নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম গুলো।
নফল নামাজের নিয়ত
অনেকেই জানেনা নফল নামাজের নিয়ত কিভাবে করতে হয়। নফল নামাজের নির্দিষ্ট কোন নিয়ত নেই সাধারণত নামাজের জন্য যে নিয়ত করা হয় সেই নিয়ত অনুযায়ী আপনারা নফল নামাজ আদায় করতে পারবেন।
তবে অনেকেই মনে করে থাকে শুধুমাত্র আরবি ভাষাতেই নামাজের নিয়ত করতে হয়। তবে আমি বলব আপনি যে কোন ভাষায় নামাজের নিয়ত করতে পারবেন যদি তার অর্থ একই হয়ে থাকে। আপনারা যারা আরবি ভাষায় পড়তে জানেন না তারা বাংলা অর্থ করে ও নামাজের নিয়ত করতে পারবেন এতে কোনরকম অসুবিধা আছে বলে মনে হয় না। কথা না বাড়িয়ে জেনে নিন নফল নামাজ কিভাবে আদায় করবেন।
অন্যান্য ওয়াক্তের নামাজের মতই নফল নামাজ পড়ার পূর্বে ভালোভাবে অজু করে পবিত্র হতে হবে। এবং নামাজের জন্য দাঁড়িয়ে নিজের মতন করে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য দুই রাকাত নফল নামাজের নিয়ত করবেন।
শুধুমাত্র আরবিতে নয় যেকোনো ভাষায় আপনি নফল নামাজের নিয়ত করতে পারবেন। এবং অনেকেই মনে করে থাকে জোরে উচ্চারণ করে নামাজের নিয়ত করতে হয় যা একদম ঠিক না। আপনি চাইলে মনে মনে নামাজের নিয়ত করতে পারবেন।
এবং নামাজের নিয়ত করা হয়ে গেলে আল্লাহু আকবার বলে কান পর্যন্ত হাত উঠিয়ে ছেলেরা নাভির নিচে। এবং মেয়েদের বুকের উপর হাত বানতে হবে। এবং হাত বাধার পর সুরা ছানা পাঠ করতে হবে।
অনেকেই হয়তো সূরা সানা পাঠ করতে জানে না তাই আপনিও যদি সুরাসানা না জেনে থাকেন। সেক্ষেত্রে এক্ষুনি জেনে নিন। নিচে সূরা সানা উল্লেখ করা হলো।
سُبْحَانَكَ اَللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالِىْ جَدُّكَ وَلَا اِلَهَ غَيْرُكَ
উচ্চারণ : সুবহানাকাল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা, ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তাআ-লা জাদ্দুকা, ওয়ালা ইলাহা গায়রুক।
সূরা সানা সঠিকভাবে পাঠ করা হয়ে গেলে এবার পাঠ করতে হবে সুরা (ফাতেহা) সুষ্ঠুভাবে এবং সুন্দরভাবে সুরা ফাতেহা পাঠ করার পর যে কোন একটি দোয়া পাঠ করতে হবে। এবং সূরা ফাতিহা এবং নির্দিষ্ট দোয়াটি পাঠ করার পর রুকুতে যেতে হবে। দুই পায়ের হাঁটুতে দুই হাত রেখে রুকুতে যাবার পর তিনবার পাঠ করতে হবে (সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম)।
তিনবার সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম বলে রুকু থেকে ওঠার সময় বলতে হবে (সামিআল্লাহু লিমান হামিদা) তারপরে বলতে হবে রাব্বানা লাকাল হামদ এবং তারপরে ধীরে ধীরে সিজদায় যেতে হবে। শেষ তাই গিয়ে বাট করতে হবে (সুহানা রাব্বিয়াল আলা) ৩ বার।