সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস ট্র্যাকিং – আপনার পার্সেল কোথায় জানুন

দেশের প্রথম ও সর্ববৃহৎ কুরিয়ার সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস। বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতিদিন এই কুরিয়ারের মাধ্যমে পার্সেল আদান প্রদান করে থাকেন। কিন্তু আমাদের অতি প্রয়োজন এর কারণে অনেক সময় পার্সেলটি কোথায় আছে সেই খোঁজ নেয়ার জন্যই ট্রাকিং সিস্টেম চালু করে এই প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তারা। কিন্তু অনেক গ্রাহকরাই জানে না এই ট্রাকিং সিস্টেমের মাধ্যমে কিভাবে তার পণ্যটি কোথায় আছে দেখবে। তাই এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা আপনাদের জানিয়ে দেবো কিভাবে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসে ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে আপনার পণ্যটি কোথায় আছে দেখবেন।

সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের ট্রাকিং পদ্ধতি

সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের ট্রাকিং করা হয় মূলত পার্সেলটি কোন অবস্থায় আছে এবং কোথায় আছে সেটা জানার জন্য।

সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের পার্সেল ট্রেকিং করার জন্য সর্বপ্রথম আপনার প্রয়োজন হবে ডিজিটাল ভাউচার কাস্টমার কপি। আপনার কাছে যদি এই ডিজিটাল ভাউচার কাস্টমার কপিটি না থাকে তাহলে আপনি আপনার সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের পার্সেলটি ট্র্যাকিং করতে পারবেন না। মূলত আমরা যদি সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে এক জেলায় থেকে অন্য জেলায় কোন পার্সেল পাঠাই তাহলে সেখান থেকে আমাদের একটি ডিজিটাল কাস্টমার ভাউচার প্রেরণ করবে। আর সেই ভাউচারের মাথার উপর একটি CN Number দেয়া থাকে। আর এই নাম্বারটি দিয়েই আপনি জানতে পারবেন আপনার বর্তমান পার্সেলটি কোথায় আছে।

সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের ট্র্যাকিং করার কিছু নিয়ম ও পদ্ধতি জানা লাগে সেই নিয়ম অনুসারে আপনারা পার্সেলটি কোথায় আছে দেখে নিতে পারবেন। নিয়মগুলো হল

. সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের পার্সেল টি টেকিং করার সময় গ্রাহককে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।

. আর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে আপনার সামনে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের একটি ওয়েব পেজ চলে আসবে আর সেখানে আপনার সিএন নাম্বার লেখার জন্য একটি জায়গা দেখতে পারবেন , আর সে জায়গাটিতে আপনাকে পার্সেল এর ভাউচার নাম্বার লিখতে হবে এবং নিচের সার্চ অপশনে ক্লিক করতে হবে।

. আর সেই সার্চ অপশনে ক্লিক করলেই আপনার পার্সেলের সকল বিবরণীয় তথ্য আপনি পেয়ে যাবেন। যেমন পার্সেলটা বুকিং কবে হয়েছিল, কে বুকিং দিয়েছে ,কোন জেলায় থেকে বুকিং দিয়েছে, আপনি যে পণ্য পাঠিয়েছেন সে পণ্যের সংখ্যা, লট নাম্বার ইত্যাদি সকল তথ্য। এবং বর্তমানে পার্সেলটি কোন গোডাউনে অবস্থান করছে সে তথ্যটিও আপনাকে দেবে।

সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের খরচ

বর্তমান সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস দেশ ও দেশের বাইরে পার্সেল আদানপ্রদানে বেশ সুনাম অর্জন করেছে। বাংলাদেশ সহ দেশের বাইরেও বিভিন্ন দেশে পার্সেল আদান প্রদান করে থাকে এই কুরিয়ার সার্ভিস টি। কিন্তু আপনারা অনেকে জানতে চান সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের পার্সেল এর খরচ আদানপ্রদানে কেমন। আপনাদের সুবিধার জন্য আংশিকভাবে খরচ সম্পর্কে ধারণা দেয়া যেতে পারে কিন্তু নির্দিষ্টভাবে কোন খরচ বলে দেয়া সম্ভব নয়। কারণ সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের খরচ বহন করে পণ্যের ওজন, কোন স্থান থেকে কোন জায়গায় পাঠাবে, এবং পণ্যের সাইজ অনুযায়ী। আপনি যদি কোন সময় মৌসুমী ফল পাঠান তাহলে আপনার পণ্যটি আগে ওজন করা হবে আর সেই ওজনের ভিত্তিতে আপনাকে পার্সেল এর খরচ বহন করতে হবে। তাছাড়া বাংলাদেশ থেকে দূরের কোন দেশে পণ্য পাঠাতে গেলে সেটা দূরের ওপর নির্ভর করে সেই পার্সেলটির ওপর চার্জ হবে। তাই আপনাদেরকে নির্দিষ্টভাবে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের চার্জ জানাতে পারছি না।

সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস কবে বন্ধ থাকে

সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস একটি জরুরি সেবা। এখান থেকে মানুষ তার ওষুধ ব্যবসায়ী মালামাল ইত্যাদি জরুরি সব পণ্য আদানপ্রদান হয়। তাই তাই খুব কম সময়ে এই কুরিয়ার টি বন্ধ থাকে। এটা সপ্তাহে প্রত্যেকটা দিনই খোলা থাকে তবে শুক্রবারে নামাজের সময় কুরিয়ার সার্ভিস টি বন্ধ থাকে। তাছাড়া বিভিন্ন উৎসবে সরকারি ছুটির সঙ্গে এদের প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ থাকে। তবে আপনাদের সুবিধার জন্য সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের  দুটি হেল্পলাইন ফোন নম্বর দিচ্ছি ০১৮১৯৩০৯৫৫৯/০১৮১৯৩৩২৫২৮ এই হেল্পলাইন দুটিতে ফোন করে আপনি জেনে নিতে পারবেন কবে কোন দিন কুরিয়ার সার্ভিস টি বন্ধ থাকে।

আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের ট্র্যাকিং পদ্ধতি সহ আরো সকল তথ্য আপনাদের সুবিধার জন্য জানিয়ে দিলাম। আপনারা ট্র্যাকিং পদ্ধতির মাধ্যমে খুব সহজেই জানতে পারবেন আপনার জরুরী পণ্যটি কোথায় ও কোন অবস্থানে আছে।