পুজার ছুটি ২০২৩ – দুর্গাপূজার ছুটি

সাধারণত হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হল দুর্গাপূজা। তাছাড়া বাংলা মাস অনুযায়ী প্রত্যেকটি মাসেই তাদের একটি করে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এই দুর্গা পূজাকে কেন্দ্র করে হিন্দুরা অনেক বড়  অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আর তাই এই উৎসবকে আরো রঙিন করতে হলে হিন্দু ভাইদের ছুটির বিশেষ প্রয়োজন। তাই আমাদের এই আজকের আর্টিকেলটি কিছু পূজার ছুটি সম্পর্কে আলোচনা করব। পূজার সময় কোন দিন কত তারিখে ছুটি থাকবে এটা হিন্দু ভাইদের জানা অতীব জরুরী।

পূজার ছুটি ২০২৩

সাধারণত হিন্দু ভাইদের অনেক ধর্মীয় উৎসব হয়ে থাকে তাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হলো দুর্গাপূজা। হিন্দু ধর্মালম্বী ভাইদের পূজা একটি বড় উৎসব। কথায় আছে হিন্দুর ভাইদের বারো মাসে ১৩ টি পূজা হয়ে থাকে। হিন্দুরা সাধারণত পুজা গুলো বাংলা ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে তৈরি করে থাকে। তবে পূজা আবার বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন রকমের এবং বিভিন্ন অনুসারীতে তৈরি হয়ে থাকে। এবং বিভিন্ন জাত ভেদে তাদের উৎসবের আমেজ হয়। হিন্দুদের পূজা করার প্রধান উদ্দেশ্য হল দেবতার আশীর্বাদ পাওয়া ও তাদেরকে উপহার প্রদান করা এবং তাদের সন্তুষ্টি অর্জন করার লক্ষ্য তাদেরকে ভক্তি করা।

হিন্দু ধর্মালম্বী মানুষেরা প্রধানত তাদের পূজা করে অথবা নির্দিষ্ট মন্দিরে দুই রকম ভাবে পূজা করে থাকে। তবে সে ক্ষেত্রে পূজা ভেদে হয়ে থাকে। কিছু পূজা অনেক হিন্দুরা তাদের বাসাতেই করে। কিছু পূজা আছে আবার যেগুলো হচ্ছে মন্দির কেন্দ্রিক মানে ওগুলো মন্দিরে ই তৈরি করতে হবে যেমন দুর্গাপূজা কালী, পূজা সরস্বতী পূজা, ইত্যাদি এই ধরনের পূজা গুলো সাধারণত মন্দিরে হয়

প্রতিবছর একটি নির্দিষ্ট সময়ে দেবী দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। যা দুর্গাপূজা নামে পরিচিত একটি হিন্দুদের অন্যতম একটি পূজা। দুর্গাপূজা সাধারণত শুল্ক পক্ষের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়। এর জন্য আশ্বিন মাসে যে পূজাটির উদযাপিত হয় সে পূজা শারদীয় দুর্গাপূজা বলে। সাধারণত যে পূজা চৈত্র মাসে করা হয় সে পূজাকে তারা বসন্তী পূজা হিসাবে পরিচিতি লাভ দিয়েছে। সচারাচর হিন্দুদের মাঝে শারদীয় দুর্গাপূজা টাই বেশি প্রভাব ফেলে। অন্যদিকে বসন্তী পূজা কিছু পরিবার তা উদযাপিত করে।

অন্যদিকে কালী পূজা হল দেবী কালকে পূজা করার একটি উৎসব। এটা সাধারণত শীতকালে এই পূজাটি তৈরি করা হয়। এটা অবশ্য শ্যাম পূজা নামে পরিচিত। এটি হিন্দু প্রজাতির আর একটা ধর্মীয় উৎসব। কালী পূজা সাধারণ তো কার্তিক মাসের শেষের দিকে অমাবর্ষার কীর্তিতে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।

চলুন আমরা এক পলক দেখে নিই বিভিন্ন পূজার ছুটি সম্পর্কে একটি তালিকা। ২০২১ এর তালিখা

. শিবরাত্রি ব্রতএকুশে মার্চ ৭ ফাগুন

. দোলযাত্রা২৮ শে মার্চ,১৪ চৈত্র।

. মহালয়া৬ অক্টোবর ২১ আশ্বিন

. শারদীয় দুর্গাপূজা১৪ই অক্টোবর ২৯ শে আশ্বিন।

. লক্ষী পূজা২০ শে অক্টোবর ৬ এ কার্তিক।

. কালীপূজা বা শ্যাম পূজা৪ ই নভেম্বর ১৯ এ কার্তিক।

দূর্গা পূজার ছুটি ২০২১

সবাই হয়তো অধীর আগ্রহে বসে থাকেন এই দিনটির জন্য। এর মধ্যে অজানা দূর্গা পূজার ছুটি কতদিন কোন তারিখ থেকে কত তারিখ অবধি এসব সম্পর্কে অনেকেই জানার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, তাদের অপেক্ষার প্রহর শেষ হলো আর কিছুদিনের মধ্যেই হিন্দুদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপুর উৎসব শুরু হতে যাচ্ছে

১০ই অক্টোবর থেকে মহা পঞ্চমীর মাধ্যমে শুরু হবে এই মহৎ উৎসবটি, আর ৬ অক্টোবরের মহালয়ার মাধ্যমে এর কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। সাধারণত মহালয়ার মাধ্যমে পূজার আমেজ শুরু হয়ে যায়। মহালয়ের মাধ্যমে আগমন শুরু হয় দেবীর। ২০২১ সালের শারদীয় দুর্গা উৎসব শুরু হবে ৬ অক্টোবর থেকে শুরু করে  ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে।

যেটা হিন্দু ভাইদের জানার জন্য খুবই জরুরী কারণ একটি পূজার মাধ্যমে তাদের উৎসব শুরু হয়। আর তাদের এই উৎসবে অনেক কিছু করতে হয় তাদের প্রতিমা তৈরি প্রতিমা সাজ প্রতিমা রাখার জায়গা ইত্যাদি নানান কাজ থাকে এই উৎসবকে ঘিরে।

ছুটি এমন একটা জিনিস যেটা আগে থেকে জানা থাকলে প্রত্যেকেরই জন্য ভালো। আজ আমরা এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে বিভিন্ন পূজার ছুটি সম্পর্কে জানতে পারলাম। পূজার ছুটির সম্পর্কিত আরো কিছু জানার থাকলে আমাদের ওয়েবসাইটে এসে আপনি আপনার অজানা তথ্যটি জেনে নিতে পারেন।