জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম ২০২২

সাধারণত অঙ্গীকারনামা হল একটি আইনগত ভাবে প্রকৃত লিখিত চুক্তি, একটি অঙ্গীকার নামায় একটি ব্যক্তির প্রতিশ্রুতিমূলক তথ্য উল্লেখ থাকে। যা তার পক্ষ গুলির মধ্যে পারস্পরিক অধিকার এবং বাধ্যবাধকতা তৈরি করে সংজ্ঞায়িত করে ও পরিচালনা করে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গীকারনামা ২০২২

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে যে সকল শিক্ষার্থী মাস্টার্স বিভিন্ন কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য আবেদন করছেন সেই আবেদন ফরম পূরণ করতে গেলে অঙ্গীকারনামা পূরণ করতে হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অন্যান্য কোন কোর্স এ ধরনের কোন ঝামেলা না থাকলেও, মাস্টার্স নিয়মিত পরীক্ষায় ভর্তি হতে হলে আপনাকে এই অঙ্গীকারনামা ফরমটি পূরণ করে আপনাকে ভর্তি হতে হবে।

তার কারণ হলো বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন জায়গার শিক্ষার্থী এসে একদিন নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়। তাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী কোন শিক্ষার্থী যদি অঙ্গীকার নামার ফরমটি পূরণ করে মাস্টার্সে ভর্তি হতে হবে, এবং প্রত্যেকটি তথ্য নিশ্চিত করে শিক্ষার্থীদের মাস্টার্স ভর্তি হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে।

যে সকল শিক্ষার্থী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে অনুযায়ী ভর্তির আবেদন ফরমে অঙ্গীকার নামা পূরণ করবে না , সে সকল শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল হয়ে যাবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে থেকে এই অঙ্গীকারনামা  নামা ফর্মটি ডাউনলোড করা গেলেও, কোন পেজে গিয়ে অঙ্গীকারনামা ফরমটি ডাউনলোড করতে হবে তা অনেক শিক্ষার্থী বুঝতে পারে না, তাছাড়া অনেক সময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্ভার সমস্যার জন্য, বিশ্ববিদ্যালয়টির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট পেজে শিক্ষার্থীরা প্রবেশ করতে পারেনা।

তাই আমাদের এই ওয়েবসাইটটিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মাস্টার্স নিয়মিত শিক্ষার্থীদের জন্য, পূর্বে ভর্তি হওয়ার জন্য যে অঙ্গীকার নাম ফর্মটি পূরণ করতে হয় তার পিডিএফ ফাইলটি আপলোড করা হয়েছে তাই আপনাদের সুবিধার্থে পিডিএফ ফাইলটি ডাউনলোড করে আপনাদের কাছে রেখে দিন। তবে পিডিএফ ফাইলটি ডাউনলোড করে হাতে লিখে ফরমটি পূরণ করতে হবে এবং কম্পিউটারে স্ক্যান করে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ধাপ অনুসরণ করতে হবে।

মাস্টার্স ভর্তির অঙ্গীকারনামা PDF:

সাধারণত একটি শিক্ষার্থী অনার্স শেষ করে মাস্টার্স ভর্তি জন্য আবেদন করে থাকে। আর যারা ডিগ্রি করছে ভর্তি হয়েছেন তারা ডিগ্রি শেষ করে মাস্টার্স প্রিলি শেষ করে মাস্টার্স শেষ বর্ষের জন্য ভর্তি হয়ে থাকেন। ভর্তির আবেদন করতে গেলে বেশ কিছু কাগজ পএ প্রয়োজন হয় আর মাস্টার্স ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে অঙ্গীকারনামা কাগজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

অনেক শিক্ষার্থী জানে না এই অঙ্গীকারনামা কাগজটি কি আর এটা কোথায় থেকে পাওয়া যায়। মূলত অঙ্গিকারনামা পত্রে আপনার স্বাক্ষর, আপনার গুরুত্ব কিছু তথ্য, অনার্সের কিছু বিবরণ দিয়ে আপনার তথ্য সম্পর্কিত একটি ফর্ম। মাস্টার্সে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে এই ফর্মটি ডাউনলোড করে সেটি , জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে স্ক্যান করতে হবে, এবং পিডিএফ ফাইল আকারে সেটা সাবমিট করতে হবে।

তারপর আপনি যে কলেজে আবেদন করছেন সেই কলেজেও একটি কপি দিতে হবে। যারা ইতিমধ্যে মাস্টার্সে আবেদন করা শেষ হয়েছে তাদের জন্য অঙ্গীকারনামা বিষয়টি খুব সহজ। যারা মাস্টার্সের আবেদন প্রক্রিয়াটি এখনো সম্পন্ন হয়নি তাদের কাছে মনে হবে বিষয়টা অনেক জটিল সাধারণত অঙ্গীকারনামা পত্রে আপনার নাম, আপনার পিতা মাতার নাম, আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার, অনার্স পাস করেছেন কোন প্রতিষ্ঠান থেকে, অনার্স পাশের সাল, আপনার অনার্স পাশের রেজাল্ট ইত্যাদি এ সকল তথ্য অঙ্গীকার নামায় পূরণ করতে হবে। তবে এগুলো পূরণ করার ক্ষেত্রে কিছু অপশনে বেশ ঝামেলায় পড়তে হয়। তাই যারা এসব বিষয়ে অভিজ্ঞ তাদের সঙ্গে পরামর্শ করবেন বা নিকটস্থ কোন বন্ধুর সাহায্য নিবেন। অহেতুক না জেনে কোন ভুল তথ্য অঙ্গীকার নামায় কখনো দিবেন না।

সাধারণত অঙ্গীকারনামাটি আমাদের ওয়েবসাইটে পিডিএফ ফাইল আকারে আপনি পেয়ে গেলেন। কিন্তু এটি প্রিন্ট করার অপশন আপনাদের হাতে নেই। তাই আপনার নিকটস্থ কোনো কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে এটি প্রিন্ট করুন এবং এটা পূরণ করুন।

মাস্টার্সে ভর্তি হওয়ার সময় অনেক শিক্ষার্থীর বুঝতে পারে না কোথায় কোন তথ্য তারা দিবে। এছাড়াও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মাস্টার্সে ভর্তি হওয়ার সময় অঙ্গীকারনামা ই অনেক শিক্ষার্থী ঝামেলায় পড়তে হয়। আপনারা আমাদের এই আর্টিকেলটি মণোযোগ সহকারে পড়লে খুব সহজেই সব বুঝতে পারবেন।