বর্তমান সময়ে অধিকাংশ মানুষেরই একটি বিরাট সমস্যা হল চুল পড়া। যা প্রতিনিয়তই প্রত্যেককেই কমবেশি বিভ্রান্ত হতে হয় চুল পড়া নিয়ে। চুল পড়া সমস্যাটি আসলে একটি বড় সমস্যা যা সমাধান করা প্রত্যেকের কাছেই খুবই জরুরী।
চুল পড়া বন্ধ করার সবচাইতে বড় উপায় হল চুলের যত্ন নেয়া। আমরা অনেকেই অনেক রকম ভাবে চুলের যত্ন নিয়ে থাকি বিশেষ করে নিয়মিত চুলের শ্যাম্পু ব্যবহার এবং নানান রকমের প্রাকৃতিক থেরাপিও দিয়ে থাকি। যা থেকে খুব একটা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা যায় না চুল পড়া।
তবে এখন চাইলেই আপনারা চুল পড়া বন্ধ করতে পারবেন খুব সহজেই। কেননা এখন বাজারে অনেক ধরনের চুল পড়া বন্ধের ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে যে ওষুধগুলো সঠিকভাবে সঠিক নিয়মে ব্যবহারে কমিয়ে আনতে পারবেন আপনার চুল পড়া।
তাই এখন হয়তো আপনার মনে এই প্রশ্নই যাচ্ছে সে ওষুধটির নাম কি বা কোথায় পাওয়া যাবে। আপনি যদি ঠিক এরকমই চিন্তা করে থাকেন। সেক্ষেত্রে আমি বলব আপনাকে আর কিছুক্ষণ ধৈর্য ধরতে কেননা আমরা আপনাদের মাঝে প্রকাশ করব এই চুল পড়া বন্ধের ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য। যা থেকে আপনারা বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন কিভাবে কি উপায়ে বা কি ঔষধ ব্যবহার করে চুল পড়া নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।
চুল পড়া সমস্যা কি খুবই বড় একটি সমস্যা যার জন্য দায়ী আমরা নিজেরাই। নানান রকম কারণবশত চুল নষ্ট হয়ে থাকে যার ভেতরে সুপরিচিত একটি কারণ হলো দূষিত পানি এবং ধুলো ময়লা যা সাধারণত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চুলের জন্য ক্ষতিকর।
আপনি যখন কোন দূষিত পানি ব্যবহার করবেন কিংবা দূষিত পানি দিয়ে গোসল করবেন। ঠিক সেই সময় আপনার চুলেও সে দূষিত পানির প্রভাব ফেলবে। আপনি যদি একটু গভীরভাবে চিন্তা করে থাকেন। সেক্ষেত্রে বুঝতে পারবেন দূষিত পানি চুলের জন্য কতটুকু ভয়ানক।
এমনকি আমরা যখন রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করি তখন নানান ধরনের দূষণ লক্ষ্য করা যায়। যেমন ধুলোবালি কিংবা দূষিত হওয়া এ সমস্ত কারণেও মারাত্মকভাবে চুলের ক্ষতি হয়ে থাকে। তাই আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত দূষিত পানি এবং ধুলো ময়লা থেকে চুলকে রক্ষা করা।
চুল পড়া বন্ধের ঔষধের নাম
চুল পড়া বন্ধ নিয়ন্ত্রণে আনতে আপনারা ব্যবহার করতে পারেন ,,মিনোক্সিডিল (Minoxidil) . যা সাধারণত চুল পড়া কমাতে খুবই ভালো কার্যকরী এই ঔষধটি। এই মিনোক্সিডিল ওষুধটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ নতুন চুল গজাতে এবং অকারণে চুল ঝরে পড়া কমাতে। যার কারনে এখন অধিকাংশ ব্যক্তিরা এই ঔষধটি ব্যবহার করছেন নিয়মিত।
তাই আপনার যদি কপালের দিক থেকে চুল সরতে শুরু করে। সেক্ষেত্রে আপনারা এই মিনোক্সিডিল ওষুধটি ব্যবহার করতে পারেন। মিনাক্সিলি ওষুধটি একেবারে ডক্টারি গবেষণার দ্বারা তৈরি। যার কারণে এই ওষুধটি ব্যবহারের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায় না। তবে অবশ্যই এই ওষুধটি ব্যবহার করতে হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
আপনি যদি ডাক্তারি পরামর্শ ছাড়াই এই মিনোক্সিডিল ওষুধটি ব্যবহার করে থাকেন। সেই ক্ষেত্রে পরবর্তীতে আরো মারাত্মক কিছু করতে পারে তাই অবশ্যই এই ওষুধটি ব্যবহারের পূর্বেই ভালোভাবে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নেবেন। যাতে করে পরবর্তীতে কোন রকম অসুবিধা পড়তে না হয়।
চুল পড়ার নানা রকম কারণ থাকে শারীরিকভাবে নানা রকম অসুবিধার কারণে চুলে ইফেক্ট পড়ে থাকে। তাই অবশ্যই ডক্টরের সাথে আপনার শারীরিক সমস্ত অসুবিধা গুলো প্রকাশ করতে হবে। যাতে করে ডাক্তাররা খুব সহজেই বুঝতে পারে ঠিক কি কারনে আপনার চুল নষ্ট হচ্ছে।
যদি গবেষণা অনুযায়ী আপনার চুল নষ্ট হয়ে থাকে তবে সেই ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই যে কোন ডাক্তার মেইন মিনোক্সিডিল ওষুধটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেবে।
মিনোক্সিডিল ব্যবহারের নিয়ম:
আপনাকে যদি কোন ডাক্তার মিনোক্সিডিল ওষুধটি ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই সেই ডাক্তারের থেকে জেনে নেবেন কতটুকু পরিমানে ব্যবহার করতে হবে।
এবং অবশ্যই একটি পরিষ্কার শুকনো মাথার ত্বকে এই ওষুধটি পরিমাণ মতো লাগাতে হবে। ভেজা চুলে সঠিকভাবে কাজ নাও হতে পারে। তাই অবশ্যই পরিষ্কার শুকনো মাথায় ঔষধ টি ব্যবহার করবেন।