মাগরিবের আজানের সময় – আজকের মাগরিবের আযান কখন

আযান দেয়ার কারণ হলো মানুষকে মসজিদে আহবান করা। নামাজের যে উত্তম সময় হয়েছে তা জানানোর জন্য আযান। প্রত্যেকটি ওয়াক্ততে আযান দেয়ার উদ্দেশ্যে মানুষকে জানিয়ে দেওয়া হয় এখন নামাজের সঠিক সময়। আযানের মাধ্যমে একজন মুমিন ব্যক্তি নামাজের জন্য প্রস্তুতি নেই। মানবজাতি ও জিন জাতির ওপর মহান সৃষ্টিকর্তা প্রত্যেকটি প্রাপ্তবয়স্ক নর নারীর ওপর পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ আদায়ের জন্য কঠোরভাবে নির্দেশনা দিয়েছে।

আর কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে এই পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ আদায় না করে তার জন্য কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। নামাজের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে হবে, দাঁড়িয়ে না পারলে বসে পড়তে হবে, বসে যদি নামাজ না পড়তে পারেন ,তবে শুয়ে পড়তে হবে শুয়ে যদি না পড়েন তবে ইশারাতে নামাজ পড়তে হবে তবুও নামাজ কাযা করা যাবে না। হ্যাঁ সময় একটু কম বেশি হতে পারে তবুও আমাদের নামাজ আদায় করতে হবে। আল্লাহতালা আপনাকে একদম নির্দিষ্ট সময় নামাজ পড়ার কথা বলেনি। সময় একটু কম বেশি হলে সমস্যা নেই আপনি তবু নামাজ আদায় করতে পারবেন।

মাগরিবের আজানের সময়

মাগরিবের ওয়াক্ত শুরু হয় সূর্য ডোবার পর থেকে। সাধারণত মাগরিবের আজান শুরু হয় পশ্চিম আকাশে সূর্য ডোবার পর থেকেই। সূর্যাস্তরের পর পরে চারিদিকের মসজিদে মাগরিবের আজান হয়ে থাকে। মাগরিবের আজান একটি নির্দিষ্ট সময় দিতে হয় কারণ এখানে সময় খুবই সংকীর্ণ থাকে। একটি নির্দিষ্ট সময়ে মাগরিবের আজান দিতে হয়

কারণ সূর্য ডোবার অনেক পরে যদি আপনি মাগরিবের আজান দিয়ে থাকেন তাহলে সেখানে ভুল হবে আবার সূর্য ডোবার আগেও যদি আপনি মাগরিবের আযান দেন তাহলে সেখানে ভুল হবে। পশ্চিমা আকাশে সূর্যের লালিমা দেখার সঙ্গে সঙ্গে আপনি মাগরিবের আযান দিতে পারবেন। অনেকের মধ্যে দেখা যায় মাগরিবের আজান অনেক দেরিতে দিয়ে থাকে। মাগরিবের আজানের একটি নির্দিষ্ট ওয়াক্ত রয়েছে সে ওয়াক্তের মধ্যে আপনাকে মাগরিবের আজানটি শেষ করতে হবে।

যেহেতু মাগরিবের নামাজের সময়সীমা কম থাকে তাই সময় মতো আযান দেওয়াটা উত্তম। কারণ মাগরিবের আজান দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই মাগরিবের ফরজ নামাজ শুরু হয়ে যায়। মাগরিবের সাধারণত ৭ রাকাত নামাজ পড়তে হয় তিন রাকাত ফরজ দুই রাকাত সুন্নত দুই রাকাত নফল। আযান দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ফরজ নামাজে দাঁড়িয়ে পড়ে ইমাম সাহেব। কারণ অন্যান্য নামাজের ওয়াক্তর মত এই নামাজে বেশি সময় থাকে না তাই আযানের পরেই নামাজের জামাত শুরু হয়ে যায়।

কিছু ব্যতিক্রম কারণে আপনি মাগরিবের নামাজ এশার নামাজের আগ অব্দি পর্যন্ত পড়ে নিতে পারেন সেখানে প্রত্যেক দিন নয় আপনি কোন কাজের ব্যতিক্রম হয়ে গেছেন সেক্ষেত্রে। হাদিসে বর্ণিত আছে আপনাকে সঠিক সময় নির্ধারণ করে ওয়াক্তর ভিত্তিতে নির্দিষ্ট সময়ে আযান দিতে হবে। আযানের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি বুঝতে পারে নামাজের সঠিক সময় সম্পর্কে। কারণ দৈনন্দিন জীবনে মানুষ বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকে মানুষের সময় জ্ঞান থাকে না তাই একজন ব্যক্তি আযানের মাধ্যমে তার নামাজের সঠিক ওয়াক্ত  বুঝতে পারেন।

বিভাগীয় শহর অনুযায়ী মাগরিবের আজানের সময়সূচী

ঢাকা বিভাগ

ঢাকা বিভাগের মাগরিবের আজান শুরু হয় সন্ধ্যা ৬:১৫ থেকে আর শেষ হয় সন্ধ্যা ৬:২৫ এর মধ্যে।

চট্টগ্রাম বিভাগ

চট্টগ্রাম বিভাগে মাগরিবের আজান শুরু হয় সন্ধ্যা ছয়টা দশ মিনিট থেকে শুরু করে সন্ধ্যা ছয়টা বিশ পর্যন্ত শেষ।

রাজশাহী বিভাগ

রাজশাহ বিভাগে মাগরিবের আজান শুরু হয় সন্ধ্যা ৬:২০ থেকে শুরু করে সন্ধ্যা ছয়টা পঁচিশ পর্যন্ত।

খুলনা বিভাগ

খুলনা বিভাগে মাগরিবের আজান শুরু হয় সন্ধ্যা ছয়টা পনেরো থেকে সন্ধ্যা ৬:২৫ পর্যন্ত।

বরিশাল বিভাগ

বরিশাল বিভাগে মাগরিবের আজান শুরু হয় সন্ধ্যা ৬ঃ১০মি: থেকে শুরু করে ৬:২০ পর্যন্ত।

সিলেট বিভাগ

সিলেট বিভাগে মাগরিবের আজান শুরু হয় সন্ধ্যা ৬: ১০মি: থেকে শুরু করে 6:20 পর্যন্ত।

ময়মনসিং বিভাগ

ময়মনসিং বিভাগের মাগরিবের আজান শুরু হয় সন্ধ্যা ৬:১৫ মি থেকে ৬ টা ২২ পর্যন্ত।

রংপুর বিভাগ

রংপুর বিভাগে মাগরিবের আজান শুরু হয় সন্ধ্যা ছয়টা ১৭মি: থেকে সন্ধ্যা ছয়টা ২৫ পর্যন্ত।

হ্যাঁ সময়ের ভিতরতে বিভাগের শহরে কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে আমাদের সময়ের সঙ্গে ১০০% একুরেট নাও হতে পারে

আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা আপনাদের জানিয়ে দিলাম মাগরিবের আজানের সঠিক সময় সম্পর্কিত কিছু তথ্য। আপনারা যারা মাগরিবের আজানের সঠিক সময় জানতে চান আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসুন।