চিঠি লেখার নিয়ম – চিঠি লেখার সঠিক নিয়ম

মনের ভাব প্রকাশের একটি পুরনো মাধ্যম হলো চিঠি। যা আমরা সকলেই জানি। তবে বর্তমান সময়ে চিঠির প্রচলন খুব একটা লক্ষ্য করা যায় না। শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠান দিকগুলোতে এখন পর্যন্ত বজায় রয়েছে চিঠির প্রচলন। তবে চিঠির প্রচলন থাকুক বা না থাকুক। প্রত্যেকেরই এই চিঠি লেখার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জেনে রাখা প্রয়োজন। কেননা আপনি যদি একজন শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই এই চিঠি লেখার সঠিক নিয়ম জেনে রাখতে হবে।

কেননা আপনি যখন বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন তখন আপনাকে অবশ্যই একটি চিঠি লিখতে হবে। তাই আপনি যদি সেই মুহূর্তে চিঠি লেখার সঠিক নিয়ম গুলো না জেনে থাকেন। সেক্ষেত্রে আপনি সেই বিষয়ের চিঠিটি লিখতে পারবেন না।

এছাড়াও আপনি যদি সরকারি কোন সুবিধা নিতে চান কিংবা কোন আবেদন জানাতে চান। সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই একটি চিঠি লেখা প্রয়োজন হবে। কেননা আপনি চিঠি ব্যতীত কোন কিছুর মতামত সরকারি কোন প্রতিষ্ঠান কিংবা বেসরকারি যাই হোক না কেন আপনি অনুমতি পাবেন না।

তাই আপনাকে একটি চিঠির মাধ্যমে প্রথমে জানাতে হবে আপনি সে প্রতিষ্ঠান থেকে কি ধরনের সুবিধা চান। তাই প্রত্যেকের জন্যই চিঠি লেখাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যদিও বা তা খুব একটা প্রয়োজন হচ্ছে না এই বর্তমান সময়ে। তবুও সকলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চিঠি লেখার ধরন একই হলেও চিঠি নানান রকম হয়ে থাকে।যেমন:

ব্যক্তিগত চিঠি
বৈষয়িক চিঠি

ব্যক্তিগত চিঠি: ব্যক্তিগত চিঠি বলতে বোঝানো হয়েছে নিজের ইচ্ছামতন বন্ধু-বান্ধব কিংবা যেকোনো ব্যক্তিকে যে কোন বিষয় নিয়ে চিঠি লেখা।

বৈষয়িক চিঠি: সংবাদপত্র প্রকাশ কিংবা কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কোন প্রতিষ্ঠান কিংবা কোন প্রশাসনিক যে সমস্ত চিঠিগুলো লেখা হয়ে থাকে। এই চিঠিগুলোকে বৈষয়িক চিঠি বলা হয়। তবে এখন বৈষয়িক চিঠি গুলোই বেশি লিখা হয়ে থাকে সাধারন মানুষদের।

এর পাশাপাশি চিঠির ও আরো নানান ধরনের কোয়ালিটি লক্ষ্য করা যায়।

যেমন, অনেকেই চিঠি লিখে থাকে আমন্ত্রণ নিমন্ত্রণ জানিয়ে। এছাড়াও অভিনন্দন জানিয়েও চিঠি লেখা হয়ে থাকে। এবং ব্যক্তিগত চিঠির মধ্যে সবচাইতে পরিচিত চিঠি হল প্রেমপত্র। তবে এখন আর কোনরকম প্রেমপত্র প্রয়োজন হয় না।

আগেকার দিনে একে অন্যের সাথে কথোপকথনের একমাত্র উপায় ছিল এই চিঠি। এখন বর্তমানে আমরা ঘরে বসেই একে অন্যের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যেকোনো বিষয় নিয়ে মতামত প্রকাশ করে থাকি। তাই কষ্ট করে আমাদেরকে আর চিঠি লেখার প্রয়োজন হয় না।

তবে আপনারা যখন বৈষয়িক চিঠি গুলো লিখতে যাবেন তখন অবশ্যই তার প্রতিটি নিয়ম কানুন গুলো সঠিকভাবে জেনে নেবে। কারণ বৈষয়িক চিঠি গুলো একেবারেই ব্যক্তিগত নয়। যার কারণে এটি সমস্ত নিয়ম কানুন গুলো ভালোভাবে দেখেশুনে লেখা প্রয়োজন। তবে ব্যক্তিগত চিঠি লেখার ক্ষেত্রে নিয়ম কানুনের প্রতি তেমন গুরুত্ব না দিলেও চলবে।

চিঠি লেখার সঠিক নিয়ম

আপনি যখন কোন চিঠি লেখার জন্য প্রস্তুতি নিবেন তখন অবশ্যই আপনাকে সেই চিঠিতে লিখতে হবে খুবই সহজ ভাষায়। যাতে করে যে উদ্দেশ্যে চিঠি পাঠাচ্ছেন বা যেই প্রাপকের কাছে চিঠি পাঠাচ্ছেন। সে খুব সহজেই আপনার মনের কথাগুলো বুঝতে পারে। অবশ্যই চেষ্টা করবেন চিঠির কাঠামো ঠিক রেখেই চিঠি লেখার।

চিঠি লেখার সঠিক কাঠামো না জেনে অনেকেই অশুদ্ধ ভাষায় চিঠি লিখে ফেলেন। তাই আপনাদেরকে অবশ্যই এই অসুস্থ ভাষায় চিঠি লেখা থেকে বিরত থাকতে হবে। যতটুকু পারা যায় শুদ্ধ ভাষায় চিঠি লেখার চেষ্টা করবেন।

চিঠি লেখার ক্ষেত্রে যা বিদ্যমান থাকবে:

চিঠি লেখার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ের উপর নজর রাখতে হবে। যাতে করে কোন রকম ভুল বা পরিবর্তন না হয়। এ সমস্ত বিষয়গুলো একটি চিঠিতে বিদ্যমান থাকতে হবে সেগুলো নিচে আলোচনা করা হলো।

১.খামের ওপরে প্রাপকের নাম এবং ঠিকানা থাকতে হবে। বা আপনি যার উদ্দেশ্যে চিঠিটি পাঠাচ্ছেন তার নাম এবং তার ঠিকানা সঠিকভাবে লিখতে হবে।

২. চিঠি পত্রের ভেতরে প্রথমে পত্র লেখার স্থান এবং পত্র প্রেরণের তারিখ সঠিকভাবে উল্লেখ করতে হবে।

৩. শুদ্ধ ভাষায় চিঠি লিখতে হবে।

৪. পত্রের মূল বিষয় শুদ্ধভাবে এবং সঠিক নিয়মে লিখতে হবে।

৫. এবং পত্র লেখক এর নাম এবং স্বাক্ষর দিয়ে চিঠি লেখা শেষ করতে হবে বা ইতি করতে হবে।