১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা

বাঙালি জাতির জীবনে অনেক অবিস্মরণীয় দিন রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম একটি দিন হল ১৬ ডিসেম্বর যেটাকে আমরা বিজয় দিবস হিসেবে পালন করি। যেটা ৩০ লক্ষ শহীদের জীবনের বিনিময়ে এই বিজয়ের অর্জন। নয় মাস রক্তক্ষয় যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি এই বিজয়ের ঠিকানা। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বরে আমরা এই মহান বিজয় দিবস টি পাই ,তারপর থেকেই প্রতিবছরের নানা আয়োজনে এই দিনটি আমরা পালন করে থাকি। আজকে আমরা আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা নিয়ে একটি আর্টিকেল।

১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা:

১৬ ই ডিসেম্বর বিশেষ একটি দিন যেটা রাষ্ট্রীয়ভাবে দেশের সকল জায়গাতে যথাযথভাবে পালন করা হয়, ১৯৭২ সালের ২২শে জানুয়ারি এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানানো হয় এই দিনটিকে বাংলাদেশের জাতীয় দিবসে হিসেবে উদযাপন করার কথা বলা হয়। ডিসেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী পাকিস্তান বাইনির প্রায় ৯১ হাজার সেনা সদস্য বাংলাদেশ ও ভারতের সমন্বয়ে ও যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীরা। আর সেই থেকেই পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ নামে একটি নতুন স্বাধীন ও সর্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। যার ফলে প্রতিটি বছর খুব যথাযথভাবে সারা দেশব্যাপী দিনটিকে আয়োজনের মাধ্যমে পালন করা হয়।

এই দিনটিকে আমরা কোনো না কোনোভাবে উদযাপন করে থাকি। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান যেমন স্কুল, কলেজ ,সরকারি অফিস আদালত, সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি বিভিন্ন জায়গা গুলোতে বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রামের মাধ্যমে দিনটি সুন্দরভাবে পালিত হয়। বাড়িতে ছোট ছোট বাচ্চারা পতাকা নিয়ে ও বিভিন্ন বাসা বাড়ির ছাদে জাতীয় পতাকাটা উত্তোলন করা হয়। রাস্তাঘাটে পতাকার ছড়াছড়ি এবং হাতে বিভিন্ন ব্যাস লাইট লাল সবুজের বর্ণ চারিদিকে ছড়াছড়ি হয়ে যায়। আমরা বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য বিভিন্ন স্ট্যাটাস দিয়ে থাকে। আবার অনেককে ইনবক্সে উইশ করি, এই দিনের কয়েকটি শুভেচ্ছা বার্তা নিচে দেয়া হল।

. বিজয়ের হাসির পিছনে রয়েছে লাখ লাখ শহীদের রক্ত, মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি সকলকে।

. অনেক অনেক ধৈর্যের বিনিময়ে অর্জিত বিজয় দিবস উপলক্ষে সবাইকে জানাই বিজয় দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। 

. চারিদিক আজ যেনো লাল সবুজের সমারোহ। সবাইকে জানাই বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।

.বিজয় এলো বাংলাদেশের পাখির গানে গানে, সেই কথাটি একটি পাখি বললো কানে কানে।

. বিজয় দিবস বিজয় দিবস অমর হোক অমর হোক।

১৬ই ডিসেম্বর বা বিজয় দিবসের এসএমএস:

দেখতে দেখতে ৫০ বছর পার হয়ে গেল আমাদের এই বিজয়ের অর্জন। দেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব ১৬ই ডিসেম্বর কে মহরতি হিসেবে পালন করা। ১৬ই ডিসেম্বর পালনের ক্ষেত্রে আমরা অনেকে দ্বিধান্বন্দ্বের মধ্যে পড়ে যায় আমরা কি ধরনের এসএমএস, কোন ধরনের এসএমএস পাঠালে ভালো লাগলে সুন্দর হবে। সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষেত্রে কোন ধরনের ছবি আপলোড করব কি ধরনের ক্যাপশন দিব ইত্যাদি এসব প্রশ্ন আমাদের মাথায় ঘুরপাক খায়, আর সে সকল উত্তর খুঁজতে হলে আপনাদের আমাদের আর্টিকেলটি শেষ  অব্দি দেখতে হবে। বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা হিসেবে আমাদের এই এসএমএসগুলো আপনি নির্বাচন করতে পারেন।

.বিজয় আমাকে পথ দেখিয়েছে , দিয়েছে বাচাঁর আশ্বাস। আমি বিজয়ের গান গাই

.আমি স্বাধীনতা কে চাই আমি বিজয়ের পতাকা ধরে , সারাটি পথ পাড়ি দিতে চাই মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।

.আমরা লক্ষ কন্ঠে সোনার বাংলায় খুঁজে পাই প্রাণের আশা, তাই প্রশ্ন বিদ্ধস্বাধীনতাকে উত্তরই মেলাবার আজই তো সময়সবাইকে জানাই বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা

.একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার,সারা বিশ্বের বিস্ময় তুমি আমার অহংকার। 

. ১৬ই ডিসেম্বর তুমি বাঙালির অহংকার। তুমি কোটি জনতার বিজয় নিশান,

১৬ ডিসেম্বর বা বিজয় দিবসের স্ট্যাটাস:

১৬ ডিসেম্বর বা বিজয় দিবসে আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় শহীদদের স্মরণে নানা ধরনের স্ট্যাটাস দিয়ে থাকি। অনেকেই নানান ধরনের ক্যাপশন খুঁজেন। আপনি আমাদের এই ক্যাপশনগুলো নির্বাচন করতে পারেন বিজয় মানেই লাল সবুজের পতাকা, লাল সবুজ মানে একটি গর্বিত জাতি, ১৬ ডিসেম্বর মানেই একটি গর্বিত মানচিত্র। তাই এই বিজয় দিবসকে খুব সম্মানের সহিত শ্রদ্ধা করুন এবং আপনি এবং আপনার পরিবারকে বিজয় দিবস সম্পর্কে ছোটদের শিক্ষা দিন।

আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা আপনাদের জানিয়ে দিলাম ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা সম্পর্কিত নানা ধরনের তথ্য দিলাম। আপনি যদি বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা দিয়ে থাকেন তাহলে আমাদের আর্টিকেলটির পড়ুন এবং বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানাতে পারেন আপনার প্রিয় মানুষগুলোকে।