সরকারি প্যারামেডিকেল ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২২-২০২৩ অনলাইনে আবেদন করলাম

এসএসসি ও এইচএসসি সমমান পরীক্ষার পরে শিক্ষার্থীরা ও শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা বেশ চিন্তায় পড়ে তারা কোন বিষয়ে পড়বে কোন কোর্স নিয়ে পড়লে তাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে এসব বিষয় নিয়ে। এখানে এমন কিছু বিষয় নির্বাচন করতে হবে যেখানে আপনার পড়াশোনার ব্যয় কম হবে এবং পড়াশোনা শেষে আপনাকে যেন বেকার বসে না থাকতে হয়। তবে বর্তমানে এমন বিষয় খুব কমই আছে। তবে তার মধ্যে একটি সম্ভাবনাময় পেশা হচ্ছে মেডিকেল টেকনোলজি। তাই আমাদের এই আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন প্যারামেডিকেলের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ও ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে সকল বিস্তারিত তথ্য।
সরকারি প্যারামেডিকেলে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি ২০২২
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার পরে একজন শিক্ষার্থীর জীবনে এক নতুন জীবনের অধ্যায়ন শুরু হয়। একজন শিক্ষার্থীর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ তার এই সাফল্যের উপর নির্ভর করে। আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন প্যারামেডিকেল এর ২০২২ ভর্তির বিজ্ঞপ্তি এবং এর সমস্ত বিবরণীয় বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
বর্তমান এস এম এস ডাব্লিউ বি বা স্টেট মেডিকেল ফ্যাকাল্টি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল সমস্ত সরকারি ও এফিলিয়েটেড বিভিন্ন কলেজগুলোতে সরকারি প্যারামেডিকেলে ভর্তির জন্য এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী অক্টোবর ২০২১ শিক্ষাবর্ষের জন্য শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে। এই সরকারি প্যারামেডিকেল কোর্স ভর্তির জন্য আপনাকে অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
এই ভর্তি পরীক্ষায় কেন্দ্রিক করে আপনার মেরিট লিস্ট প্রস্তুত করবে, সেই মেরিট লিস্ট অনুসারে মোট ৯৯ টি সরকারি কলেজের মধ্যে একটিতে আপনি সরকারি প্যারামেডিকেল ভর্তির কোর্সের জন্য আবেদন করা শুরু করবেন।
সরকারি প্যারামেডিকেল কোর্স এ ভর্তি ২০২২ কবে
সরকারি প্যারামেডিকেলে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি অনুসারে নিচে এই সময়সীমা ও তারিখ দেওয়া হল।
১. অনলাইনে আবেদন শুরু: ৬ ই জুন ২০২২ সালে।
২. অনলাইনে আবেদন শেষ: ১২ ই জুলাই ২০২২ সালে।
৩. অনলাইনে প্রবেশপত্র ডাউনলোড: ২০ শে জুলাই ২০২২।
৪. পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ: ২৪ শে জুলাই ২০২২।
সরকারি প্যারামেডিকেল পড়তে কত খরচ পড়ে
সাধারণত এদের সরকারি কোর্স হওয়া য় এখানে পড়াশোনার খরচ খুবই কম হয়। মোট কোর্স করতে কলেজটি সহ ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়। এর সঙ্গে আনুষঙ্গিক কিছু খরচ আছে আপনার বই থাকা খাওয়া ইত্যাদি এসব খরচ আপনাকে বহন করতে হবে। তবে একটি বিষয় সরকারি প্যারামেডিকেল এর চেয়ে বেসরকারি প্যারামেমেডিকেল কোর্স অনেক টাকা খরচ হয়। সেই তুলনায় সরকারি প্যারামেডিকেলে অনেকটাই কম। তবে ইন্টারনি চলার সময় আপনি মাসে কিছু টাকা পাবেন।
সরকারি প্যারামেডিকেল কোর্স করার সুবিধা
১. খুব সামান্য খরচে এই কোর্স টি করা যায়,যে কোন সাধারণ পরিবার এটি বহন করার মতো সক্ষম রাখে।
২. সাধারণত একটি এন্ট্রান্স প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে সরকারি প্যারামেডিকেল কোর্স করার জন্য চান্স পাওয়া।
৩. কোর্স শেষে ৬ মাসের ইন্টারনি সময় শিক্ষার্থীরা কিছু হাত খরচ পায়।
৪. প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসতে হলে রসায়ন ও জীববিজ্ঞানের উপর ভালো নাম্বার ও দক্ষতা থাকতে হবে।
অনেকে বুঝেনা প্যারামেডিকেল বিষয়টা আসলে কি? এটা সহজ ভাবে বলতে গেলে স্বাস্থ্য পরিসেবার একজন সহায়ক কর্মী। চিকিৎসা সেবাই শুধু ডাক্তারদের ওপর নির্ভর করে থাকলে সেই চিকিৎসা পরিচালনা করা অসম্ভব হয়ে যাবে। একটি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে শুধু ডাক্তার দ্বারা পরিচালিত অসম্ভব একটি বিষয়।
প্রত্যেকটি বিভাগীয় ডাক্তারদের সঙ্গে একটি করে সহকারী কর্মী থাকে, আর এই ডাক্তারদের সাথে সহযোগিতকারীরাই প্যারামেডিকেল এর টেকনোলজিস্ট। বাংলাদেশের বর্তমানে দুই লক্ষেরও বেশি মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এর প্রয়োজন। সারা বাংলাদেশে জেলা উপজেলা ইউনিয়নে সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল সহ প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র রয়েছে । এক্ষেত্রে বুঝতেই পারছেন একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এর গুরুত্ব কত বেশি।
আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদের জানিয়ে দিলাম কিভাবে সরকারি প্যারামেডিকেলে ভর্তি হতে পারবেন।যার সরকারি প্যারামেডিকেলে ভর্তি হতে ইচ্ছুক আমাদের আটিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন জেনে নিন প্যারামেডিকেলে ভর্তি হওয়ার সব তথ্য। শিক্ষা সংক্রান্ত যে কোনো তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন।