বিদায় মানে একটি কষ্টের শব্দ।আমাদের জীবনে এমন অনেক সময় আসে যখন আমাদেরকে কাউকে বিদায় জানাতে হয়। কিন্তু অনেক সময় এই বিদায় কে জানানোর জন্য অনেক আয়োজনের মাধ্যমে বিদায় অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়। এই সময় আমাদের অনেকেরই একটি বিদায় বক্তব্যের প্রয়োজন হয়। তাছাড়া অনেকে বক্তব্য দিতে ভয় পায়, তবে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনার কাছে বিষয়টি একদম সহজ মনে হবে। সুপরিকল্পিত বক্তব্য কাকে বলে ,বক্তব্য কোথায় থেকে শুরু করব, বক্তব্যে শুরুতে কি বলবো, কিভাবে বক্তব্যের মনোযোগ রাখতে হবে এসব তথ্যের ভিত্তিতে আমরা আমাদের আর্টিকেলটি সাজিয়েছি।
অনেকে ছাত্র–ছাত্রীদের জন্য বিদায় বক্তব্য রাখে, ছাত্র–ছাত্রী শিক্ষকের জন্য বিদায় বক্তব্য রাখে, সহকর্মীদের জন্য বিদায় বক্তব্য রাখে, বসের জন্য বিদায় বক্তব্য রাখে, বন্ধু বান্ধবীদের জন্য বিদায় বক্তব্য রাখে নানান ক্ষেত্রে বিদায়ী বক্তব্যের প্রচলিত রয়েছে।
বিদায় শব্দের অর্থ
আমরা সহজ ভাষায় বলি আমাদের কাছে কেউ বা আমাদের সঙ্গে কাজ করা সহকর্মী যখন আমাদের কাছ থেকে আলাদা হয়ে যায়, তখন তাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিদায়ী একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তার চলে যাওয়াকেই বিদায় অনুষ্ঠান বলে
বিদায়ী অনুষ্ঠান একে অপরের সকল স্মৃতিকে মনে করিয়ে দেয়। তারা যে দীর্ঘ সময় একসঙ্গে ছিল এবং এখন আর তাদের মাঝে থাকবে না এমন কিছু তাদের অনুভব করায়।
কিভাবে বিদায়ী বক্তব্য দিতে হয়:
সর্বপ্রথম বিদায়ী বক্তব্য দেয়ার আগে মঞ্চের সামনে সুন্দর সুদর্শিতভাবে দাঁড়িয়ে পড়ুন। বক্তব্য শুরুর আগে সবাইকে শুভেচ্ছা জানান, তারপর আপনি আপনার নিজের পরিচয় তুলে ধরুন, যিনি আপনাকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে তার ওপর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করুন। বক্তব্য দেয়ার সময় আপনার কথা শুদ্ধ ও স্পষ্টতা থাকতে হবে। কারন সেই বক্তব্যে অনেক মানুষ উপস্থিত থাকতে হবে আপনার কথা বুঝতে না হলে তারা আপনার ওপর বিরক্তি হবে। আমি যে বক্তব্যটা দিবেন সেটা অবশ্যই সত্যতা থাকা লাগবে কোন অসত্য বক্তব্য আপনি উপস্থাপন করতে পারবেন না।
বিদায়ী বক্তব্যের ধরন:
বিদায়ী অনুষ্ঠানের বক্তব্যের উদ্দেশ্য বিদায়ী বক্তব্যের কিছু ধরুন রয়েছে, আপনি যখন বিদায় অনুষ্ঠান দেয়ার জন্য বক্তব্য দিবেন এই ধরন গুলো মাথায় রেখে বিদায় অনুষ্ঠানের ভাষণ দিতে পারবেন সেগুলো হল:
১. শিক্ষার্থীদের জন্য বিদায়ী বক্তব্য।
২. ছাত্র–ছাত্রীরা শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বিদায়ী বক্তব্য
৩. বন্ধু ও বান্ধবীদের জন্য বিদায়ী বক্তব্য
৪. অফিসের বসের জন্য বিদায়ী বক্তব্য
৫. সহকর্মীদের জন্য বিদায়ী বক্তব্য
৬. সিনিয়রদের জন্য বিদায়ী বক্তব্য.
বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য
একজন ব্যক্তিকে বিদায় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে, সে যে পরবর্তী জীবনে পদার্পণ করতে যাচ্ছে সে জীবন যেন সুন্দর হয় সেই কামনা করে আমরা একটি সুন্দর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তাকে বিদায় জানানোর চেষ্টা করি। বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষ করে, এক প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার জন্য চলে যায়, এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে সোনালী স্মৃতি ও শিক্ষার্থীদের যে আগামী দিনের ভবিষ্যৎ যেন ভালো হয় বিদায় অনুষ্ঠানে এইরকমই প্রতিশ্রুতি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে হয়ে থাকে।
বিদায় অনুষ্ঠান খুবই বিষাদময় । কারণ তাকে বিদায় অনুষ্ঠানের সেই প্রাঙ্গণ ত্যাগ করে একটি নতুন জায়গাতে আবারো পথচলা। কারণ বিদায়ের মাধ্যমে জায়গা ফাঁকা করে নতুনদেরকে জায়গা দেওয়া এটা ক্রমাগত চলে আসছে। যদিও বিদায় একটি বিষাদ তবুও এটা আমাদের মেনে নিতে হয় এই অনুষ্ঠানটির মাধ্যমে আমরা একে অপরের সঙ্গে শেষ সাক্ষাৎটুকু করতে পারি। এবং অনেকের সঙ্গে আবার নতুন ভাবে সাক্ষাৎ হওয়ার সুযোগ হয়ে যায়। বিদায় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আপনারা যে দীর্ঘ সময় একসঙ্গে হাসির ঠাট্টা দুঃখ কষ্ট মান–অভিমান যেই ব্যাপারগুলো ঘটেছে তার জন্য সকলের কাছে বন্ধুসুলভ দৃষ্টিতে ক্ষমা চেয়ে নিতে পারবেন।
যেতে দিতে নাহি মন চায় তবু যেতে দিতে হয় বাংলা এই প্রবাদ বাক্যটিতে স্পষ্টভাবে বুঝিয়েছে বিদায় শব্দটি কত কষ্টের ও বেদনাময়। আপনি যদি বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য সম্পর্কে জানতে আসেন,কি ভাবে বিদায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিলে সবাই মুগ্ধ হবে এইসব বিষয়ে জানতে হলে আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য সম্পর্কে না জানা সকল তথ্য আপনি পেয়ে যাবেন।