ঈদের ছুটির প্রজ্ঞাপন ২০২৩ – ঈদের ছুটি বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি

২০২৩ সালের ঈদের ছুটির প্রজ্ঞাপন নিয়ে আমরা এই আর্টিকেলটিতে আলোচনা করেছি। এই আলোচনা থেকে আপনারা প্রত্যেকে জানতে পারবেন কত তারিখে ঈদ অনুষ্ঠিত হবে এবং ঈদ সম্পর্কিত আরো নানান কথা। আমাদের এই আলোচনাটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ সে সমস্ত মানুষদের জন্য। যারা তাদের নিজেদের পরিবার-পরিজন ছেড়ে অনেক দূরে পড়ে আছেন কর্মের কারণে বা চাকরির কারণে।

যে সমস্ত ভাই বোনেরা তাদের নিজেদের পরিবার পরিজন ছেড়ে অনেক দূরে রয়েছেন তাদেরকে ঈদের ছুটি কিংবা ঈদের নানান বিষয় নিয়ে অনেক চিন্তিত থাকতে হয়। কেননা এ সমস্ত ব্যক্তিদের একদিকে রয়েছে পরিবার আরেকদিকে রয়েছে কর্মস্থল যা দুটি বর্তমান সময়টিতে মানুষের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।

প্রত্যেকেই চেষ্টা করে থাকেন নিজেদের পরিবার-পরিজনদের সাথে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে। তবে অনেকের ক্ষেত্রেই তা হয়ে ওঠে আবার অনেকেই নিজেদের পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারে না। অনেকে আছে যাদের কাজের চাপে কিংবা অফিসিয়াল কাজ অনুযায়ী ঈদের ছুটি সেভাবে পান না যার কারণে অনেকেই ঈদের দিনে পরিবারের সাথে সময় কাটাতে পারেনা।

এছাড়াও আপনি যদি একটু লক্ষ্য করে থাকেন সে ক্ষেত্রে দেখতে পারবেন অনেকে আছে যাদের ঈদের মধ্যে ছুটির সংখ্যাটি খুবই অল্পদিনের হয়ে থাকে। যার কারণে এই ছুটির সংখ্যা অল্প হওয়ায় অনেকেই নিজেদের পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে যেতে পারে না। কেননা সীমিত ছুটি নিয়ে কখনোই আনন্দ উপভোগ করা যায় না। যার কারণে পরবর্তী ছুটির অপেক্ষায় থাকতে হয় যাতে করে একটি বড় সময় পরিবারের সঙ্গে উপভোগ করা যায়।

তাই এই সমস্ত ব্যক্তিদের কে আগে থেকে পরিকল্পনা করে রাখতে হয় ঈদ সম্পর্কে। কেননা সঠিক পরিকল্পনা ছাড়া কখনোই একটি ব্যস্ত মানুষ চাকরিজীবী মানুষ ঈদের সময়টি সুষ্ঠুভাবে কাটিয়ে উঠতে পারে না যার কারণে তাদেরকে আগে থেকে জেনে রাখতে হয় কত তারিখে ঈদ বা মাসের কোন সময় ঈদ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এই সময়টি জেনে তারা নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী পরিকল্পনা করে থাকে ঈদ কাটানোর।

প্রতিটি সরকারি এবং বেসরকারি অফিসগুলো তাদের জন্য ছুটি তালিকা তৈরি করে থাকে। তবে সরকারের যে সমস্ত রয়েছে তারা পর্যাপ্ত পরিমাণ ছুটি ভোগ করতে পারে না কেননা যে সমস্ত মানুষরা ডিফেন্স এর চাকরি করে থাকে তাদের মধ্যে প্রতিটি সময় থাকতে হয় সতর্ক।

যার কারণে আর্মি পুলিশ সহ আরো ডিফেন্স সৈন্যদের কে ছুটির পরিমাণটা নানান ভাবে বিভক্ত করে দিতে হয় প্রত্যেকেই একই সঙ্গে ছুটিতে পাঠানো কখনোই সম্ভব নয় যার কারণে বারে বারে ভাগ করে সকলকে ছুটি প্রদান করা হয়।

তবে বেসরকারি যে সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে সেগুলোতে ছুটির সংখ্যা প্রায় লক্ষ্য করা যায় না। বেসরকারি সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছুটি অনেক কম হওয়ায় সাধারণ মানুষদের অনেক অসুবিধা হয়ে থাকে। তবে বিশেষ করে প্রত্যেককেই ঈদ মৌসুমে পর্যাপ্ত পরিমাণ ছুটি প্রদান করা উচিত কেননা ঈদ হল প্রতিটি মানুষের সবচাইতে বেশি আনন্দের দিন।

তাই এই সময়টিকে সঠিকভাবে উপভোগ করতে হলে প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণ ছুটি। তবে এখন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছুটির সংখ্যা আরো কমে আসছে। যা থেকে অসুবিধায় পড়ছে সাধারণ চাকরিজীবী মানুষরা।

কেননা তাদেরকে অবশ্যই জীবন যাপন করতে হলে কর্ম করতে হবে তাই ছুটির দরকার না করে তারা নিজেদের কাজে নিয়োজিত থাকে ঈদ মৌসুমেও পরিবার পরিজনদের কথা মনে পড়লেও তাদেরকে ঈদের মধ্যে কাজে নিয়োজিত থাকতে হয়।

কিংবা যারা অল্প ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরে তাদেরকে খুব শীঘ্রই আবার কাজে ফিরতে হয়। সাধারণত একটি অমানবিক অত্যাচার হলে মনে করা যায়।
তাই এ সমস্ত দিকগুলো বিবেচনা করে প্রতিটি কর্মস্থলের মালিক কিংবা বাংলাদেশ সরকারকে ছুটির বিষয়টি নিয়ে আরও বিশেষ চিন্তাভাবনা করতে হবে। যার সঠিক সমাধানের মাধ্যমে অনেক শ্রমিক অনেক চাকরিজীবী মানুষেরা সাধারণত ঈদটাকে সুষ্ঠুভাবে পালন করতে পারে পরিবার-পরিজন নিয়ে।

তো আপনারা হয়তো এতক্ষণে ২০২৩ সালে ঈদের প্রজ্ঞাপন সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তাই এই প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী নিজেদের পরিকল্পনা মোতাবেক আপনারা সকলেই ঈদ পালন করতে পারবেন বলে মনে করছি।