দোয়া ইউনুস – দোয়া ইউনুস এর বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ এবং এর গুরুত্ব ও ফজিলত সমূহ

আপনি যদি দোয়া ইউনুস না জেনে থাকেন কিংবা দোয়া ইউনুস সম্পর্কে না জেনে থাকেন। সেক্ষেত্রে আপনার জন্য আমাদের এই আর্টিকেলটি গুরুত্বপূর্ণ।কেননা আমরা এই আর্টিকেলে প্রকাশ করেছি দোয়া ইউনুর।

এবং দোয়া ইউনুসের ফজিলত সম্পর্কেও নানান কথা উল্লেখ রয়েছে, তাই আপনারা যারা দোয়া ইউনুস জানেন না বা তার ফজিলত সম্পর্কে জানেন না। তারা এক্ষুনি আমাদের এই পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এবং জেনে নিন দোয়া ইউনুস সম্পর্কিত আপনার অজানা কথাগুলো।

দোয়া ইউনুসের ফজিলত

হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন। কোন মুমিন মুসলমান ব্যক্তি যদি এই দোয়া ইউনুস পাঠ করে মহান আল্লাহতালার কাছে কিছু চেয়ে থাকেন। সে ক্ষেত্রে আল্লাহতালা তার মনের আশা পূর্ণ করেন।

এছাড়া অন্য হাদিস অনুযায়ী পাওয়া যায় এই দোয়া ইউনুস পড়লে সমস্ত বিপদ আপদ দূর হয়ে যায় এবং দুশ্চিন্তা মু্কতো হয়। তাই প্রতিটি মুমিন মুসলমানদের জন্য এই দোয়া ইউনুস খুবই গুরুত্বপূর্ণ কেননা দোয়াটির মধ্য দিয়ে আল্লাহ তাআলার কাছ থেকে সমস্ত বিপদ আপদ রক্ষা পাওয়া যায়।

অসাধারণ তো আমরা সাধারণ মানুষরা নানান রকম কাজে বিপদে পড়ে থাকি। যা থেকে রেহাই পেতে হলে আমাদের আল্লাহতালাকে স্মরণ করতে হবে।আল্লাহ তায়ালাকে স্মরণ করতে হলে আমাদেরকে এই দোয়া ইউনুস পাঠ করতে হবে। কেননা দোয়া ইউনুস পাঠ করার মধ্য দিয়ে আমরা সমস্ত বিপদ আপদ থেকে রক্ষা পেতে পারি।

দোয়া ইউনুস কিভাবে পড়তে হয়

সাধারণত আপনি যখন বিপদ-আপদে থাকবেন কিংবা দুশ্চিন্তে থাকবেন। তখন বেশি বেশি করে এই দোয়া ইউনুস পাঠ করবেন। কেননা ইউনূসের ফজিলত হলো বিপদ আপদ এবং দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পাবা। তাই অবশ্যই দুশ্চিন্তা কিংবা বিপদ থেকে মুক্তি পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই বেশি বেশি দোয়া ইউনুস পাঠ করতে হবে।

এবং আপনি যতবার ইচ্ছা ততবার এই দোয়া ইউনুস পাঠ করতে পারবেন তাতে কোন অসুবিধা নেই। তবে অনেকেই একটি ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে। যেমন অনেকেই আছেন যারা টাকা বা হাদিয়া দিয়ে হুজুর কিংবা মাদ্রাসার ছাত্রদেরকে ভাড়া করে নিয়ে আসেন দোয়া ইউনুস পাঠ করানোর জন্য।

অনেকেই মাদ্রাসার ছাত্রদেরকে দিয়ে কিংবা হুজুরদেরকে দিয়ে ১ লক্ষ ২৫ হাজার বার ইউনুস পাঠ করিয়ে নেয়। যা একেবারেই ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে নিষিদ্ধ। আপনি যদি হুজুরদেরকে দিয়ে কিংবা মাদ্রাসার ছাত্রদেরকে দিয়ে কোন দোয়া খতম করে থাকেন। সেক্ষেত্রে সেই দোয়াটি কেনা বেচার তালিকায় থেকে যায়। যার কারণে আপনার এবাদত থেকে কখনোই তা গ্রহণ করা হবে না।

তাই আপনি যদি আল্লাহতালার সন্তুষ্টি অর্জন করতে চান কিংবা বিপদ আপদ থেকে রক্ষা পেতে চান। সেক্ষেত্রে আপনাকেই দোয়া ইউনুস পাঠ করতে হবে। তবে নির্দিষ্ট কোন সংখ্যা নেই যে আপনাকে ঠিক ততবার পাঠ করতে হবে। আপনি যতক্ষণ পারবেন বা যতক্ষণ আপনার ভালো লাগে আপনি ততক্ষণ এই দোয়া ইউনুস পাঠ করতে পারবেন।

নিজের জন্য নিজে দোয়া করার চেয়ে উত্তম আর কিছু হতে পারে না। তাই হুজুর কিংবা মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের দিয়ে কোন রকম দোয়া করানো কিংবা কোরআন খতম দেয়া এ সমস্ত প্রচলন থেকে আপনাদের প্রত্যেককেই দূরে সরে আসতে হবে।

ধর্মীয় যে সমস্ত ভুল কর্মকাণ্ডগুলোর প্রচলন রয়েছে এগুলো ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে খুবই বিপদজনক। তাই আমাদের ধর্মীয় যে সমস্ত ভুল প্রচলন গুলো রয়েছে সেগুলো ত্যাগ করতে হবে। এবং সকলকে চেষ্টা করতে হবে সঠিক নিয়ম মেনে চলা। কেননা আমরা যদি আল্লাহ তাআলার সঠিক আদেশ-নিষেধ মেনে চলি। সে ক্ষেত্রে আমাদের কোন রকম অসুবিধা কিংবা কোনো বিপদ-আপদ আসবেনা। তাই চেষ্টা করতে হবে প্রত্যেককেই আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্টি অর্জন করা এবং তার আদেশ-নিষেধ মেনে চলা।

তো এতক্ষণে হয়তো আপনারা প্রত্যেকেই জানতে পেরেছেন দোয়া ইউনুস সম্পর্কিত বিস্তারিত নানান কথা। তাই পরবর্তীতে দোয়া ইউনুস পড়তে কিংবা দুয়া ইউনূসের ফজিলত সম্পর্কে বুঝতে কোন রকম অসুবিধা হবে বলে মনে হয় না।