আমরা সকলেই জানি মানুষের শরীরের খুবই ভয়ানক একটি রোগ হল দাউদ। যা সাধারণত চর্ম রোগের তালিকায় সর্বসেরা। মূলত এই দাউদ রোগটি ছোঁয়াচে রোগ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তবে এখন খেয়াল করলেই দেখা যায় অনেকেই এই দাউদ রোকে আক্রান্ত।
যে সমস্ত ব্যক্তিরা দাউদ রোগে আক্রান্ত তাদের দরকার সুচিকিৎসা। যে চিকিৎসার মধ্য দিয়ে পুনরায় আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে। দাউদ রোগটা ভয়াবহ চর্মরোগ হলেও এর থেকে মুক্তি পাওয়া খুবই সহজ একটু উপায়। কেননা এখন বর্তমানে দাউদের জন্য রয়েছে নানান রকমের চিকিৎসা যে চিকিৎসাগুলোর মধ্য থেকেই আস্তে আস্তে এই দাউদ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভব।
তবে জানতে হবে দাউদ রোগের জন্য সুচিকিৎসা সম্পর্কে বা জানতে হবে দাউদ রোগের ঔষধ সম্পর্কে। আপনি যদি ডাউন রোগের সঠিক ঔষধ সম্পর্কে জানেন কিংবা দাউদ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার সুযোগ ইচ্ছাগুলো সম্পর্কে জানতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনি খুব সহজে থেকে ফিরে আসতে পারবেন।
তাই আজকে আমরা আলোচনা করতে চলেছি দাউদ সংক্রান্ত এই নানান কথা। যেমন অনেকেই জানেনা দাউদ রোগের জন্য কোন কোন ওষুধগুলো রয়েছে এবং দাউদ রোগের ঔষধ ব্যবহারের নিয়ম। যার কারনে এই ইনফেকশনাল রোগটি ধীরে ধীরে আরো মারাত্মক পর্যায়ে যেতে থাকে।
তাই আপনাদের সামনে বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দেব দাউদ এর ঔষধের নাম এবং ব্যবহার বিধি। এছাড়াও জানিয়ে দেবো দাউদের ঔষধ গুলোর দাম। যাতে করে পরবর্তীতে আপনাদের ঔষধ নিয়ে কিংবা ওষুধের দাম নিয়ে কোন রকম অসুবিধায় পড়তে না হয়। তাই আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নিন দাউদের ঔষধ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আপনার অজানা তথ্য।
দাউদ রোগ হবার কারণ
দাউদ রোগটি খুবই পরিচিত একটি চর্মরোগ যা মূলত অধিকাংশ মানুষের কাছেই লক্ষ্য করা যায়। মূলত এই রোগটি ইনফেকশন থেকে হয়ে ওঠে। এবং একজন মানুষের শরীরে যে কোন স্থানে এই দাউদ রোগটি হতে পারে।
তবে আপনারা যদি এই দাউদ রোগের সুচিকিৎসা সঠিক সময় না করেন। সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে আরো ভয়ানক রূপ নিতে পারে এই দাউদ রোগ। তাই প্রত্যেককেই সচেতন থাকতে হবে। যাতে করে কোনোভাবেই কোন রকম ইনফেকশনের কারণে দাউদ রোগ না হয়।
এবং যদি কোন ব্যক্তির দাউদ রোগ হয়ে থাকে। সেই ক্ষেত্রে তাকে চেষ্টা করতে হবে খুবই দ্রুত সময়ে চিকিৎসা নেয়ার। কেননা শুধুমাত্র চিকিৎসার ফলেই এই দাউদ রূপ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
তবে আপনি যদি প্রতিটি সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন তাই চলাফেরা করেন। কিংবা নিজেদের শরীরের যত্ন নিয়ে থাকেন। সেই ক্ষেত্রে কখনোই এই দাউদ রোগে আক্রান্ত হবেন না। কেননা ময়লা আবর্জনা এবং নোংরা থেকেই মূলত এই দাউদ তৈরি হয়ে থাকে। তাই প্রত্যেককেই সচেতন হতে হবে এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে জীবন যাপন করতে হবে।
দাদ রোগের লক্ষণ
দাউদ রোগ শরীরের যেকোনো স্থানে শুরু হয় প্রথমত র্যাশ বা ফুসকুড়ি থেকে। যা দেখতে প্রায় আন্টির মতন গোলাকার এবং লালচে হয়ে থাকে। তবে একেকজনের গায়ের রং অনুযায়ী একেকজনের শরীরে দাউদের রং ভিন্ন হতে পারে। এমনকি যে স্থানে দাউদ রোগে আক্রান্ত হয় সেই স্থানের আশেপাশে নানান রকমের পরিবর্তন দেখা যায়।যেমন,,
চুলকানি হওয়া
স্থানটি ফুলে যাওয়া
আক্রান্ত ত্বকের ওপরে চুল অথবা লোম থাকলে
ত্বক কিছুটা খসখসে বা শুকনো হয়ে যাওয়া
সেগুলো পড়ে যাওয়া
তো আপনাদের শরীরে যদি কখনো এমন লক্ষণগুলো দেখা দিয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে ঠিক তখন থেকেই সতর্ক থাকতে হবে এবং খুবই দ্রুত সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আপনি যদি সঠিক সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করেন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই দ্রুত সময়ে এই দাউদ রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। তাই আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নিন দাউদ রোগের বিভিন্ন ঔষধের নাম এবং দাম।
দাউদের ঔষধের নাম
পরিচিত এই চর্মরোগ দাউদ ভালো করতে এখন তৈরি হয়েছে নানান রকমের ওষুধ। যে ওষুধগুলো দ্বারা খুব সহজেই দাউদ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। নিচে আমরা দাউদের বেশ কিছু ঔষধের নাম প্রকাশ করছি।
১.ফ্লুগান
২. ইন্টাকন
৩.রাইনিল
উপরে আমরা যে ওষুধগুলোর নাম উল্লেখ করেছি। এই ঔষধ গুলো ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করলেই আপনারা পুরোপুরিভাবে দাউদ চর্ম রোগ থেকে মুক্তি পাবেন বলে আশা করা যায়।