আমরা সাধারণত শিক্ষার্থীরা দুটি শব্দের সাথে পরিচিত। এর মধ্যে জিপিএ আমরা এসএসসি ও এইচএসসি সমমান পরীক্ষায় পাশ করার পর হিসাব করতে পারলেও, অনার্স মাস্টার্স ও ডিগ্রী কোর্স পরীক্ষায় কিভাবে সিজিপিএ বের করতে হয় আমদের অনেক শিক্ষার্থীরাই কাছে অজানা।
চার বছর কোর্স প্রতি বর্ষে আপনি যে রেজাল্টটি করবেন সেই রেজাল্টটিকে সাধারণত গড় জিপিএ বলা হয়। আর চার বছরে প্রতি বর্ষের রেজাল্ট যোগ করে মোট রেজাল্ট হিসাব করে ওটাকে বলা হয় সিজিপিএ।
CGPA এর পূর্ণরূপ কি?
একজন শিক্ষার্থীর সামগ্রিক একাডেমিক সেই বিষয়ের উপর তার অবস্থান ও মূল্যায়ন বোঝার জন্য সিজিপিএ নির্ণয় পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। CGPA এর পূর্ণরূপ হল Cumulative Grade Point Average। স্কুল এবং কলেজের জন্য, CGPA A, B, C, D বা F একজন শিক্ষার্থীর একাডেমিক পরীক্ষার তার কৃতিত্ব পরিমাণ করার জন্য সাধারণত গ্রেট ব্যবহার করা হয়। আপনার প্রতি বর্ষের প্রাপ্ত তো পরীক্ষার জিপিএ গুলো গড় দিয়ে ভাগ করা হয় তখন ওই গড় রেজাল্ট কে সি জিপিএ বলা হয়।
GPA পূর্ণরূপ কি?
GPA এর পূর্ণরূপ হল Grade Point Average । জিপিএ একটি শিক্ষা সিস্টেমের সঙ্গে মিলে যায়। একটি কলেজ ও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক অ্যাকাডেমিক কর্মক্ষমতার ক্ষেত্রে এটা বিচার হয়। একটি সংখা সূচক স্কোর যা একটি শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীর একাডেমিক অর্জন ও প্রতিফলনের স্পষ্ট একটি ধারণা তৈরি হয় ।
সিজিপিএ বের করার নিয়ম
সিজিপিএ বের করার সহজ পদ্ধতি জেনে নেই
১.৮০+ মার্কস পেলে=A+(4.00)
২. ৭৫ প্লাস মার্কস পেলে=A(3.75)
৩. ৭০ প্লাস মার্কস পেলে=A-(3.50)
৪. ৬৫ প্লাস মার্কস পেলে=B+(3.25)
৫. ৬০ প্লাস মার্কস পেলে=B(3.00)
৬. ৫৫ প্লাস মার্কস পেলে=B-(2.75)
৭. ৫০ প্লাস মার্কস পেলে=C+(2.50)
৮. ৪৫ প্লাস মার্কস পেলে=C(2.00)
৯. ৪০ প্লাস এর নিচে=F(0.00)
CGPA ও GPA এর মাধ্যমে পার্থক্য
১. জিপিএ হল এক বছর পরীক্ষার মান নির্ণয় করার পদ্ধতি। আর সিজিপিএ হল পুরো কোর্সের মান নির্ণয় করে পদ্ধতি।
২. জিপিএ পদ্ধতি এটি পুরাতন পদ্ধতি এটার মান নির্ণয় এটার নির্ণয় খুবই কম। সিজিপি পদ্ধতি একটি আধুনিক পদ্ধতি ।যেটা গোটা বিশ্বে পরিচালিত হয়।
৩. সাধারণত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ ব্যবহার হয়। কিন্তু পরবর্তীতে সব পরীক্ষার ক্ষেত্রে সিজিপির ব্যবহার হয়।
সিজিপিএ বের করা সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো প্রথমে আপনি সকল বর্ষের রেজাল্টগুলো যোগ করবেন, তারপরে প্রত্যেকটি বিষয়ের মার্কস গুলো আপনি একসঙ্গে যোগ করবেন। আপনার মোট পরীক্ষার সঙ্গে আপনার প্রাপ্ত নাম্বারটি মোট পরীক্ষার নাম্বারের সঙ্গে ভাগ করুন আপনি পেয়ে যাবেন আপনার মোট পরীক্ষার সিজিপিএ।
তারপরেও আপনাদের সুবিধার্থে আমরা সহজ করে কিছু উদাহরণ দিয়ে দিচ্ছি। আপনি যদি প্রতিটি সাবজেক্টে ৮০ করে মার্ক পান তাহলে আপনার পয়েন্ট 16 করে হবে। তাহলে ৬ টি সাবজেক্ট কে গুন করবেন ১৬ দিয়ে। মানে (১৬*৮)= ১২৮। তারপরে পুরো কোর্সটি চার দিয়ে গুন করলে দেখবেন আপনার মোট সিজিপিএ।
অনার্স ডিগ্রী ও মাস্টার্স এর ক্ষেত্রে ওদের প্রতি ইয়ারে সাবজেক্ট ভিত্তিক ক্রেডিট থাকে। যেটা প্রতিবছর সিলেবাসের সাবজেক্ট এর পাশে সব ছক আকারে লেখা থাকবে। কোর্স ভিত্তিতে নাম্বারের ভিন্নতা থাকতে পারে। যেমন সব করছে 100 নাম্বার হয় না। কিছু এ কোর্সে ৫০ করে মোট ১০০ নাম্বার থাকে। একই বর্ষে আপনি যে বিষয়গুলো পড়বেন এটি প্রত্যেকটি এক একটি কোর্স।
আশা করছি আমাদের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা যারা গ্রেডিং সিস্টেম ও সিজিপিএ বের করার পদ্ধতি জানা ছিল না এই সম্পর্কে তাদের অনেক তথ্যই আমরা দিতে পেরেছি। এখন খুব সহজেই আপনি আপনার মোট পরীক্ষার সিজিপিএ বের করতে পারবেন। আর কোন বিষয়ে বুঝতে অসুবিধা হলে আমাদের এই ওয়েবসাইটি আপনার মোবাইল ফোনের বুক মার্কেট সেভ করে রাখুন। কোন কিছু বুঝতে অসুবিধা হলে সঠিক তথ্যটি আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি জেনে নিন।