জন্ম নিবন্ধন করা প্রতিটি শিশুর মৌলিক অধিকার। তাই বাংলাদেশ সরকার প্রতিটি নাগরিকের জন্য জন্ম নিবন্ধন
বধ্যতামূলক মূলক করেছে। বর্তমানে বিভিন্ন কাজে জন্ম সনদের ব্যবহার হয়ে থাকছে তাই এটার গুরুত্ব খুবই বেশি। তাই শিশু জন্ম হওয়ার পরেই জন্ম নিবন্ধন এর অফিসে গিয়ে জন্ম নিবন্ধনের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে হয়। কিন্তু জন্ম নিবন্ধনের অফিসে নানান ধরনের হয়রানিতে নিবন্ধন করার সুযোগ হয়ে ওঠে না অনেকের। তাই ইন্টারনেটের প্রক্রিয়াটি এর সঠিক সমাধান দিয়েছে। এখন আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধনের অনলাইনে কপি ডাউনলোড করতে পারবেন। অনলাইনের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধনের কপি ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। তাই আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা আপনাদের জানিয়ে দেবো কিভাবে জন্ম নিবন্ধনের অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে হবে। আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন ও দেখে নিন কিভাবে অনলাইন থেকে জন্ম নিবন্ধনের কপি ডাউনলোড করা যায়।
জন্ম নিবন্ধন কি
আপনারা অনেকেই সঠিক ভাবে জানেন না আসলে জন্ম নিবন্ধন টা কি? জন্ম নিবন্ধনটি হচ্ছে একটি শিশুর মৌলিক অধিকারের মূল সনদপত্র। এবং এটা সংগ্রহ করা প্রত্যেকটি নাগরিককে বাধ্যতামূলক করেছে বাংলাদেশের সরকার। জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদে অনুচ্ছেদ ৭ অনুযায়ী ২০০৪ সালের বাংলাদেশে ২৯ নং আইনের আওতায় একটি শিশুর জন্য জন্ম সনদপত্র লাগবেই। আর এই সনদ পত্রে শিশুর নাম ,শিশুর পিতার নাম, শিশুর মায়ের নাম শিশুর লিঙ্গ ও ঠিকানা রেজিস্ট্রেশন করা থাকবে। আর এই রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি সরকারের খাতায় যুক্ত থাকতে হবে। আর সরকার কর্তৃপক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে যে পএ দেওয়া হয় সেটাকে জন্ম নিবন্ধন পত্র বলে।
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি ডাউনলোড:
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপিটি ডাউনলোড করতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে, বাংলাদেশ সরকার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন তথ্য ব্যবস্থা অনলাইন BRIS অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এরপর প্রদত্ত তথ্যগুলো সত্যতা নিশ্চিতের মাধ্যমে আপনাকে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপিটি ডাউনলোড করতে হবে। আপনাদের সুবিধার জন্য আমাদের এখানে
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি ডাউনলোড করার জন্য কিছু নিয়ম ও পদ্ধতি দেওয়া হল:
১. প্রথমে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন তথ্য ব্যবস্থা বা online BRIS এই ওয়েবসাইটে আপনাকে প্রবেশ করতে হবে।
২. ওয়েবসাইট সাইডে প্রবেশ করার সাথে সাথে আপনি একটি ওয়েব পেজ দেখতে পাবেন।
৩. তারপরে আপনার জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে হলে, খালি বক্সের যে নিবন্ধনগুলো আছে, সেই তথ্যগুলি জানতে চান। তারপরে জন্ম নিবন্ধন এর উপরে থাকা ১৭ ডিজিটের যে নাম্বার আছে সে নাম্বারটি খুব সতর্কতার সাহায্যে প্রবেশ করান।
৪. দ্বিতীয় বক্সটিতে যার জন্ম নিবন্ধনটি ডাউনলোড করবেন সনদে থাকা তার জন্ম তারিখ টা একটি প্রদান করুন
৫. কারো জন্ম যদি ১৯৯০ সালের আগে হয়ে থাকে তাহলে দ্বিতীয় বক্সটিতে (১৯৯০–০১–০১) এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে লিখতে হবে।
৬. দুটি বক্সে সঠিকভাবে তথ্য প্রদান করার পরে ভেরিফাই তে ক্লিক করতে হবে,
৭. ভেরিফাইটে ক্লিক করার পর যার জন্ম নিবন্ধনটি ডাউনলোড করবেন তার সকল তথ্যটি আপনি স্ক্রিনে দেখতে পারবেন।
৮. প্রদর্শিত তথ্যগুলো সঠিক কিনা তা একবার যাচাইকরে নিন। আর যদি ভেরিফাই তে ক্লিক করার পরও Matching Birth Records Not Found লেখা আসে তাহলে উল্লিখিত বক্সে দুইটিতে ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নাম্বার অথবা আপনি যার জন্ম নিবন্ধন কপিটি ডাউনলোড করবেন তার জন্ম তারিখ অবশ্যই ভুল হয়েছে। তাই আবার পুনরায় সেম পদ্ধতিতে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপিটি ডাউনলোড করার চেষ্টা করুন।
উপরোক্ত পদ্ধতি গুলো অনুসরণ না করলে আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধন এর অনলাইন কপিটি ডাউনলোড করতে ব্যর্থ হবেন। সরকারি বেসরকারি অনেক কাজে জন্ম নিবন্ধন এর সনদপত্রের দরকার পড়ে তাই এটা ডাউনলোড করে নিজের কাছে রাখা অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়। শিক্ষা কার্যক্রম থেকে শুরু করে চাকরি পাওয়া পর্যন্ত জন্ম নিবন্ধন এর কাগজটি প্রয়োজন হয়ে থাকে। জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকলে জন্ম নিবন্ধন এর পরিচয় পত্র দিয়ে আপনি প্রায় সকল কাজ চালিয়ে নিতে পারবেন।
আজকেরে আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা আপনাদের জানিয়ে দিলাম কিভাবে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধনের কপিটি ডাউনলোড করতে হয়। যারা অনলাইনের জন্ম নিবন্ধনের কপিটি ডাউনলোড করতে পারছেন না ,আমাদের ওয়েবসাইটে এসে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন আপনার অনেক অজানা তথ্য আপনি পেয়ে যাবেন।