আজকে আমরা এই আর্টিকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি। যে বিষয়টি হল ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের ভাষণ সংক্রান্ত।
প্রতিটি বাঙালির কাছে ১৬ ডিসেম্বর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা ১৬ই ডিসেম্বর আমাদের এই বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করে সেই বিজয়ের মাধ্যমে আমরা এই দেশে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারছি। তাই আজকে আমরা এই আর্টিকেলে ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের ভাষণ সম্পর্কে আলোচনা করব।
সাধারণত প্রতিবছরই বাংলাদেশে ১৬ই ডিসেম্বরে বিজয় দিবস উদযাপিত হয়ে থাকে। সরকারি কিংবা বেসরকারি সমস্ত প্রতিষ্ঠানে বিজয় দিবসের নানান ধরনের কর্মসূচি উদযাপিত হয়। যেখানে বিজয় দিবস সংক্রান্ত নানান ধরনের বক্তব্য কিংবা গল্প তুলে ধরে নানান লোকে।
ঠিক তেমনি আপনারা যাতে করে এমন বিজয় দিবসের কর্মসূচিতে একটি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখতে পারেন। সেই নিয়ে আমরা আপনাদেরকে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জানিয়ে দেব।
সাধারণত আপনি যদি একটি বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে কোন রকম বক্তব্য দেবার পরিকল্পনা করে থাকেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে আগে থেকেই গুছিয়ে রাখতে হবে আপনি কি নিয়ে কথা বলবেন বা কি বিষয় নিয়ে কথা বলবেন।
তবে বিজয় দিবসের ভাষণ হিসেবে আপনাকে অবশ্যই বিজয় নিয়েই কথা বলতে হবে। তাই আপনাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানিয়ে দেবো বিজয় দিবসের ভাষণ গুছিয়ে বলার সঠিক নিয়ম গুলো। যাতে করে ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস নিয়ে বক্তব্যে কোনরকম সমস্যায় পড়তে না হয়।
তাই আপনারা যদি বিজয় দিবসের ভাষণ সংক্রান্ত তথ্যগুলো জানতে চান সে ক্ষেত্রে আমাদের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তবে নিজে থেকেই বুঝতে পারবেন আপনাকে ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের ভাষণ দিতে হলে কি কি করতে হবে বা কিভাবে পরিচালনা করতে হবে।
ভাষণ দেওয়ার নিয়ম
আপনি যখন কোন ভাষণ দেওয়ার পরিকল্পনা করবেন তখন আপনাকে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যেমন আপনি যেই মঞ্চে ভাষণ দেবেন সেই মঞ্চে যে সমস্ত গুণী ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন সে সমস্ত ব্যক্তিদের নাম এবং তাদের পরিচয় সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা রাখতে হবে।
এমনকি আপনি যে বিষয়ের উপরে ভাষণ দেবেন। যেমন আপনি যদি ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে ভাষণ দিতে চান। সে ক্ষেত্রে আপনাকে এই বিষয়টির উপর বেশ ধারণা রাখতে হবে। যাতে করে ভাষণ দেওয়ার সময় কোন রকম অসুবিধায় পড়তে না হয়।
তবে আপনি যদি সুন্দর গোছালো ভাবে ভাষণ দিতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে আগে থেকেই সেই প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রয়োজনে আপনি যে সমস্ত কথাবার্তা বলবেন এই সমস্ত কথাগুলো আপনাকে আগে থেকেই লিখে রাখতে হবে। যাতে করে বক্তব্যের সময় কোন রকম ভুল না হয়। এবং ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা তুলে ধরবেন।
বিজয় দিবসের ভাষণ দেওয়ার নিয়ম:
বিজয় দিবসের ভাষণ দিতে হলে আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশের বিজয় নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা করতে হবে। যেমন কিভাবে আমরা বিজয় অর্জন করেছি তা।
প্রথমে আপনাকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। এবং আস্তে আস্তে কিভাবে সেই যুদ্ধ থেকে বিজয় অর্জন করেছি সে সমস্ত ইতিহাস তুলে ধরবেন। তবে অবশ্যই একটি কথা মাথায় রাখবেন দেশ কিংবা মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের অসম্মানজনক কোনরকম কথা বক্তব্যে তুলে ধরা যাবে না।
এবং আপনি যে বিষয়ের উপরে বক্তৃতা দেবেন সে বক্তৃতাটি অবশ্যই সংক্ষিপ্ত হতে হবে। কেননা অতি লম্বা বক্তব্য সব সময় সুন্দর হয় না।
বক্তব্য যতই ছোট হোক তবে সে বক্তব্যের মধ্যে অবশ্যই মূল্যবান কথা গুলোই তুলে ধরার প্রয়োজন।এবং আপনাকে দর্শকের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। যদি দর্শকরা আপনার বক্তব্য উপভোগ করে সেক্ষেত্রে আপনি একটু বেশি সময় ধরে বক্তব্য দিতে পারেন। তবে অবশ্যই আপনাকে নির্দিষ্ট বিষয়ের উপরেই বক্তব্য দিতে হবে।
আপনারা হয়তো এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের ভাষণ সংক্রান্ত এই নির্দিষ্ট তথ্য অনুযায়ী ভাষণ দেবার চেষ্টা করেন। সেক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই বিজয় দিবস সংক্রান্ত সুন্দর ভাষণ দেবেন বলে মনে করা যায়। তাই অবশ্যই ভাষণ দেবার পূর্বেই নিজেকে প্রস্তুত করুন এবং বক্তব্যের বিষয় এর উপর পর্যাপ্ত পরিমাণ ধারণা রাখুন।